আভা ডেস্কঃ জাতীয় দলের সংস্পর্শে থাকেন এমন অফিসিয়াল ও সাপোর্ট স্টাফদের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। প্রত্যেকেরই করোনা টেস্টের ফল নেগেটিভ এসেছে।
জাতীয় দলের অফিসিয়ালদের মধ্যে রয়েছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ম্যানেজার সাব্বির খান, বিসিবির সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার রাবীদ ইমাম, প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী, চিকিৎসক মনজুর হোসেন, মেডিকেল সহকারী নুরুল ইসলাম এবং ট্রেনিং ও জিম স্টাফ।
সাপোর্টিং স্টাফদের তালিকায় রয়েছেন ইনডোরের তিন কর্মী, ম্যাসাজ ম্যান ও টিম বয়। মঙ্গলবার ও বুধবার তাদের সবার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ধাপে ধাপে প্রত্যেকের রিপোর্ট হাতে পায় বিসিবি।
করোনা প্রতিরোধে জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করেছে বিসিবি। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে গ্রিন ও রেড জোনে ভাগ করা হয়েছে। ক্রিকেটাররা যে জায়গাগুলো ব্যবহার করে থাকেন সেগুলো গ্রিন জোন। এর বাইরে সকল জায়গা রেড জোনের অন্তর্ভূক্ত।
গ্রিন জোনে প্রবেশ করতে প্রয়োজন হয় পৃথক অনুমতিপত্রের। এজন্য জাতীয় দলের অফিসিয়াল ও সাপোর্ট স্টাফদের করোনা পরীক্ষা করিয়েছে বিসিবি। নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে তারা প্রত্যেকেই এখন গ্রিন জোনের অন্তর্ভূক্ত। গ্রিন জোনের ভেতরে রয়েছে ক্রিকেটারদের ড্রেসিংরুম, মাঠে প্রবেশের আইরন গেট, করিডোর, আউটফিল্ড, একাডেমি মাঠ, ইনডোর, আউটার নেট ও জিম। এ গ্রিন জোনের তদারকিতে রয়েছে নির্দিষ্ট কর্মী। যারা প্রত্যেকেই করোনা নেগেটিভ।
এছাড়া রেড জোনে রয়েছে বিসিবি অফিস, মিডিয়া প্লাজা, গ্যালারি, পার্কিং এরিয়া ও স্টেডিয়ামের একপাশে থাকা ফার্নিচারের দোকান। রেড জোনের কেউই অনুমতিপত্র ছাড়া ঢুকতে পারেন না গ্রিন জোনে। এভাবেই জৈব নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে ক্রিকেটারদের সুরক্ষিত রেখেছে বিসিবি।
জাতীয় দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু হবে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে। ১৮ সেপ্টেম্বর হবে করোনা টেস্ট। যারা নেগেটিভ হবেন, তারা সোনারগাঁও হোটেলে উঠবেন ২০ সেপ্টেম্বর। ২১ সেপ্টেম্বর তৃতীয় করোনা টেস্ট হবে ক্যাম্পের ক্রিকেটারদের। ২৭ সেপ্টেম্বর বিমানে উঠার দুইদিন আগে আরেক দফা করোনা টেস্ট করা হবে।