ঈশ্বরদী, পাবনা প্রতিনিধিঃ কোনো মামলা এন্ট্রি নেই। অথচ ছেলের অপরাধে বাবাকে থানায় আটকে রাখা হয়েছে ৪ দিন যাবত। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল গ্রামে একটি বিয়ের ঘটনায় পলাতক বর-কনের কারণে ছেলের বাবা আরজুকে (৪৮) শুক্রবার রাত থেকে থানায় এনে রাখা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরবিন্দ ও এসআই সাইফুল ইসলামের পরিষ্কার কথা- ‘কনেকে থানায় জমা দিলে আরজুকে ছাড়া হবে’।
শুক্রবার রাতে পাকশীর বাঘইল গ্রাম থেকে আরজু (৪৮) নামে একজন ব্যবসায়ীকে আটক করে ঈশ্বরদী থানায় আনে পুলিশ। তার ছেলে রকি একই এলাকার একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৫ বছর) মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে গোপনে শুক্রবার বিয়ে করে পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় মেয়ের অভিভাবক থানায় অভিযোগ করলে ছেলেকে না পেয়ে তার বাবাকে ধরে নিয়ে আসে পুলিশ।
এ ব্যাপারে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) অরবিন্দর কাছে সোমবার সংবাদকর্মীরা জানতে চাইলে তিনি আরজু নামে কাউকে থানায় আনার ব্যাপারে অস্বীকার করলেও পরে বলেন, যারা আপনাদের বলেছে তাদের বলেন- মেয়েটিকে এনে থানায় জমা দিতে।
অভিযোগটি সোমবার দুপুর পর্যন্ত এন্ট্রি না করে কীভাবে ছেলের পিতাকে থানায় আটকে রাখলেন- এই প্রশ্নের কোনো জবাব না দিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করেন পরিদর্শক অরবিন্দ।
অভিযোগটি নিয়ে কাজ করছেন এসআই সাইফুল ইসলাম। তার মোবাইলে একাধিক সংবাদকর্মী ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
দুশ্চিন্তাগ্রস্ত আটককৃত আরজুর অসুস্থ বোন পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে এসআই সাইফুল ইসলাম তাকে বলেন, মেয়েটিকে এনে দেন তারপর আরজুকে ছাড়ব।
এ ব্যাপারে আরজুর বোন বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমার ভাই অথবা আমরা পরে জেনেছি যে তারা পালিয়ে গেছে। ভাইকে আটকে রাখলে ওদের খুঁজে বের করার লোক আমাদের পরিবারে নেই।