আভা ডেস্ক : ৭১’এ যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অভিযোগে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুল আলম তালুকদার ঝুনুসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত টিম জামালগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ কামলাবাজ, কালিপুর, কাজিরগাঁওয়ের শহীদ পরিবার, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ ও লুটপাটের শিকার পরিবারের সদস্যদের সাক্ষ্য গ্রহন করেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী সঙ্গে হাত মিলিয়ে উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিসংযোগ, খুন ,রাহাজানি, ধর্ষণ, লুপাট করার অভিযোগে ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আমল গ্রহনকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট জামালগঞ্জ সুনামগঞ্জ আদালতে জামালগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মনসুর আহমদ লাল মিয়ার ছেলে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুল আলম তালুকদার ঝুনুসহ উপজেলার পশ্চিম লক্ষিপুর গ্রামের মফিজ আলীর ছেলে মজনু মিয়া ও একই গ্রামের মৃত আবুল খয়েরের ছেলে এনাম উদ্দিনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
জামালগঞ্জ উপজেলার জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সদরকান্দি গ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা মুন্সী আব্দুল গণী মিয়ার ছেলে আব্দুল জলিল ওই মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।
এদিকে মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনব্যাপী উপজেলা সদর ইউনিয়নের শহীদ আনসার কমান্ডার আব্দুল জব্বারের ছেলে রেজাউল করিম ও শহীদ পরিবারের সন্তান জামাল মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক আব্দুল হামিদ মাস্টারের ছেলে আবুল কালামসহ আরো ১১জন শহীদ পরিবারের সন্তানের সাক্ষ্য নেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তটিম।
একই দিন দুপুরে উপজেলার কালিপুর গ্রামে শহিদ নাগর আলী, ক্ষতিগ্রস্থ আরতাব আলী, ফকির বাড়িসহ নির্যাতিত একাধিক ধর্ষিতা নারীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত টিম।
বিকালে উপজেলার কাজিরগাঁওয়ে শহীদ দেওয়ান আলী ও সফর আলীর পরিবারসহ অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত টিমের ৪ সদস্য।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল আলম তালুকদার ঝুনুর বক্তব্য জানতে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দফায় দফায় মোবাইলে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত টিমের প্রধান পুলিশ সুপার মো. নূর হোসেন বিপিএম বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ঝুনু মিয়াসহ অন্য অভিযুক্তদের ব্যাপারে প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।যুগান্তর