আভা ডেস্কঃ তাইওয়ানের কাছে ১৮ কোটি মার্কিন ডলারের হেভিওয়েট টর্পেডো অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। করোনাভাইরাস নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বিরোধ যখন তুঙ্গে, তখন সে আগুনে নতুন সলতে জোগানোর মতো কাজটা করল যুক্তরাষ্ট্র।
চীন এমনিতে তাইওয়ানকে নিয়ে আগে থেকেই বিব্রত, টর্পেডো বিক্রির এই অনুমোদন দিয়ে বিতর্ক ও বিরোধে আরো ইন্ধন যোগাল ট্রাম্প প্রশাসন। খবর আল জাজিরার
তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন ও সার্বভৌম মনে করলেও চীন তাদের নিজেদের অংশ বলে দাবি করে থাকে।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পারস্পারিক স্বার্থের ভিত্তিতে এই বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্নতাকামী অংশ বলেই মনে করে চীন। তাই যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের সম্পর্কে আরও টানাপোড়েন তৈরির আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিয়েছেন চীনবিরোধী হিসেবে পরিচিত ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী চাই ইং-ওয়েন। এরপরই তাইওয়ানকে নিজেদের অখণ্ড অংশ মনে করা চীনের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয়ের মুখপাত্র সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, স্বশাসিত অঞ্চলটির বিচ্ছিন্নতা কখনো সহ্য করবে না বেইজিং। আর তারপরেই তাইওয়ানকে অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত এই বিক্রয় অনুমোদনের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয়, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। এই অস্ত্র পাওয়ার মধ্য দিয়ে তাইওয়ানের নিরাপত্তার উন্নয়ন হবে। এছাড়া এটা দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামরিক ভারসাম্য এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এমকে-৪৮ এমওডি অ্যাডভান্সড টেকনোলোজির হেভিওয়েট টর্পেডোগুলো মার্কিন নৌবাহিনীর মজুদ থেকে সরবরাহ করা হবে। এই টর্পেডো সাবমেরিন থেকেও নিক্ষেপ করা যায়।
নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দানের ক্ষমতায় চীনের আপত্তির কারণে তাইওয়ানকে সদস্যপদ দিতে পারছে না জাতিসংঘ। বিশ্বের মাত্র ১০-১২টি দেশের সঙ্গে তাদের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে।