কে পাচ্ছেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার?

আভা ডেস্কঃ শেষের দোরগোড়ায় ‘বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি  কাপ স্পন্সরড বাই ওয়ালটন’। ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে শুরু হয়ে গেছে কাটা-ছেঁড়া। কেউ খেলেছেন প্রত্যাশার চেয়েও বেশি আবার কেউ ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ইতিমধ্যে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়দের জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কার ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পুরস্কার টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটারের জন্য। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ব্যাটিং-বোলিংয়ে মাতিয়ে রাখা ক্রিকেটার সম্মানি হিসেবে পাবেন তিন লাখ টাকা।

কিন্তু কে হচ্ছেন টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার? টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্স বিবেচনায় সবচেয়ে এগিয়ে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের দুজন। ব্যাটিংয়ে লিটন দাস ও বোলিংয়ে মোস্তাফিজুর রহমান। টুর্নামেন্ট জুড়ে একজন ভুগিয়েছেন প্রতিপক্ষের বোলারদের আরেকজন ব্যাটসম্যানদের।

গ্রুপ পর্ব ও কোয়ালিফায়ার ম্যাচ শেষে তিনজন ব্যাটসম্যান পার করেছেন ৩০০ রানের গণ্ডি। ৯ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩৭০ রান নিয়ে সবার ওপরে লিটন। তার থেকে ৪৬ রান কম নিয়ে (৩২৪) দ্বিতীয় স্থানে তামিম ও ৬৯ রান কম নিয়ে (৩০১) তৃতীয় স্থানে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

লিটন ছাড়া বাকি দুজনই বাদ পড়ে গেছেন ফাইনালের আগে। ৯ ম্যাচের মধ্যে লিটনের অর্ধশতক তিনটি। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭৮। ব্যাটিং গড় ৫২.৮৫। স্ট্রাইক রেট ১২০। এ ক্ষেত্রে লিটন যদি ফাইনালে ব্যাট হাতে অবদান রাখতে পারেন তার হাতে দেখা যেতে পারেন টুর্নামেন্ট সেরা পুরস্কার।

ব্যাট হাতে ধারাবাহিক লিটনকে দেখে মুগ্ধ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন, ‘লিটন ধারাবাহিক ভাবে রান করছে। আগের তুলনায় তাকে অনেক পরিণত দেখাচ্ছে। আগে একটু সমস্যা থাকলেও এখন সে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী যখন যেভাবে দরকার সেভাবেই ব্যাটিং করেছে। সে যে ধারাবাহিকভাবে রান করছে এটা দেখে খুব ভালো লাগছে।

এই পুরস্কারের জন্য জোর দাবিদার টুর্নামেন্টে লিটনেরই সতীর্থ মোস্তাফিজুর রহমান। কাটার-স্লোয়ারে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের প্রায় ম্যাচেই তিনি ভুগিয়েছেন। ৯ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ২১ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি পেসার। ১৭ উইকেট নিয়ে মুক্তার আলী ও ১৬ উইকেট নিয়ে কামরুল ইসলাম রাব্বী মোস্তাফিজের পরে অবস্থান করছেন। তারা দুজনের কেউই ফাইনালে যেতে পারেননি। এ ছাড়া ১৫ উইকেটের বেশি পাননি কোনো বোলার।

মোস্তাফিজ তার সেরা পারফরম্যান্সটি করেছেন জেমকন খুলনার বিপক্ষে। মাত্র ৩.৫ ওভার করে তিনি নিয়েছেন ৫ উইকেট। মিতব্যয়ী মোস্তাফিজ সেদিন ৫ রানের বেশি দেননি। ধারাবাহিক মোস্তাফিজ চার উইকেট নিয়েছেন একবার, তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন তিনবার। টুর্নামেন্টে ১০ এর বেশি উইকেট পেয়েছেন তার মধ্যে মোস্তাফিজেরই ইকোনমি রেট (৬.২৮) সবচেয়ে কম।

বাঁহাতি পেসারের পারফরম্যান্স নিয়ে হাবিবুলের মূল্যায়ন, ‘মোস্তাফিজ সাদা বলে আমাদের এক নাম্বার বোলার। ওর কাছে প্রত্যাশাটা এমনই থাকে। ওর কাছে এরকম বোলিং আমরা আশা করি। ও অনেক ভালো বোলার ও আরও ভালো করতে পারে।

ট্রফির লড়াইয়ে ফাইনালের মঞ্চে আবারও তার প্রতিপক্ষ খুলনা। আগের বারের মতো এবারও যদি জ্বলে ওঠেন তাহলে মোস্তাফিজ এগিয়ে যাবেন।সেক্ষেত্রে দুই সতীর্থর মধ্যে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার নিয়ে হবে নীরব লড়াই। তাদের মধ্যে কে এগিয়ে? জানতে চাওয়া হয়েছিল নির্বাচকের কাছেও। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি হওয়ায় সরাসরি একজনের নাম বলতে পারেন না হাবিবুল। তবে তার বিশ্বাস, ‘সেরা পারফর্মারের হাতেই উঠবে পুরস্কার।

কার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ৩ লাখ টাকা? এজন্য অপেক্ষা করতে হবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত।

Next Post

বাগমারায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে আন্ত:উপজেলা ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন।

বৃহস্পতি ডিসে. ১৭ , ২০২০
মাজহারুল ইসলাম চপল, রাজশাহীঃ রাজশাহীর বাগমারায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে আন্ত: উপজেলা ফুটবল টুর্ণামেন্ট শুভ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। টুর্নামেন্টে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ৪ আসনের এমপি ও উপজেরা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। রাজশাহী বাগমারা উপজেলা আউচপাড়া ইউনিয়নের হাট খুজিপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links