কারও দয়ায় দলে সুযোগ পাইনি, তাই কাউকে তেল দিতে চাই না ।

আভা ডেস্কঃ ভারতীয় ক্রিকেট দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া অশোক দিন্দা বলেছেন, আমি নিজের যোগ্যতায় ক্রিকেট খেলি। কারও দয়ায় দলে সুযোগ পাইনি। তাই কোচদের তেল দেয়াও পছন্দ করি না। সে জন্যই আমি কোচদের কাছে অপ্রিয়।

পশ্চিমবঙ্গ ক্রিকেটের অনেক স্মরণীয় ম্যাচ জয়ের নায়ক অশোক দিন্দা। কলকাতার মেদিনিপুরে জন্ম নেয়া এই তারকা পেসার এক যুগেরও বেশি সময় ধরে খেলেছেন বাংলার হয়ে। নিজের বাড়ির চেয়েও বেশি ছিলেন বাংলার ড্রেসিংরুমে। কিন্তু কোচ অরুন লালের কারণেই এবার বাংলা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন ৩৬ বছর বয়সী এ তারকা পেসার।

সম্প্রতি আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অশোক দিন্দা বলেছেন, বাংলা ছেড়ে অন্যত্র খেলতে যাওয়া খুব কষ্টের। বাংলার ক্রিকেট থেকেই সব পেয়েছি। বাংলা ক্রিকেটের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না। বাংলার ড্রেসিংরুমে ১৪ বছর কাটিয়েছি। কলকাতায় নিজের বাড়িতেও হয়তো এত সময় কাটাইনি।

ভারতের হয়ে ১৩টি ওয়ানডে আর ৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা এ তারকা পেসার আরও বলেছেন, আমি ফিট কিনা সেটা কে ঠিক করবে, অরুণ লাল? তিনি নিজেও ফিট কিনা সেটাই প্রশ্ন। ওনার কথা হলো দৌড়াও, দৌড়িয়ে যাও। এটা নব্বইয়ের দশকের তত্ত্ব। বর্তমান ক্রিকেটে অনেক কিছু পাল্টেছে। গত ১৪ বছর আমি যেভাবে ট্রেনিং করেছি এখন সেটা বদলাতে বলা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমাকে অরুন লাল বলছেন, ম্যাচে পাঁচ-ছয় ওভার বল করার পর তুমি কেন মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছো? আমি বললাম আমরা ফাস্ট বোলার, পাঁচ-ছয় ওভার বোলিং করলে আমাদের অন্তর্বাসহ সব ভিজে যায়। ভিজা পোশাকে থাকলে কোমর টাইট হয়ে যায়, পেশীতে টান ধরে। পোশাক পাল্টে না এলে শরীরের ক্ষতি হবে। এসব তো উনি বুঝবেন না, ওই ধারণা ওনার নেই। আর ওনাকে কেউ বুঝাতেও পারবে না। উনি যা বলবেন, সেটাই বাংলা ক্রিকেটে শেষ কথা।

দিন্দা আরও বলেন, প্রথম প্রথম কোচকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি, কোনও লাভ হয়নি। তাই এড়িয়ে চলা শুরু করি। আমি নিজের যোগ্যতায় খেলি। কারও দয়ায় খেলি না। কোনও কোচকে তেল দিয়েও চলি না। এসব কারণেই আমি কোচের কাছে অপ্রিয়।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১১৬ ম্যাচে ৪২০ উইকেট শিকার করা দিন্দা আরও বলেন, বিজয় হাজারে ট্রফির সময় আমি সৌরভ গাঙ্গুলীকেও বলেছিলাম সব ম্যাচ খেলব না, বেছে বেছে ম্যাচ খেলব। যাতে বাংলার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বেশি কাজে আসতে পারি। অরুণ লাল গত বছর মিডিয়ার মাধ্যমে বললেন দিন্দা কেন ক্লাব ক্রিকেট খেলে না। বাংলার হয়েও কুকুরের মতো দৌড়াব, ক্লাবের হয়েও তাই করব, আমি কি রোবট নাকি? আমি তো মানুষ, এটা তো মানুষের শরীর। এ কারণেই আমাকে ওনার অপছন্দ। উনি পছন্দ না করলেও আমার কিছু যায় আসে না।

অশোক দিন্দা আরও বলেন, আমি নিয়মিত পারফর্ম করায় কোনোভাবেই যখন দল থেকে বাদ দেয়া যাচ্ছিল না তখন, ইয়ো ইয়ো টেস্ট দিতে বললেন অরুন লাল। অন্যদের টেস্টের সময় দূরে বসে থাকলেও আমার সময় সামনে চেয়ার নিয়ে এসে বসলেন। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, পাশ মার্ক কত। বললেন, ১৬। আমি ওনার সামনেই পাশ করলাম। কিন্তু উনি মানলেন না। বললেন, তুমি পাশ করেছো বিশ্বাস হচ্ছে না। আমি বললাম ভূতের সামনে তো পাশ করিনি!

 

Next Post

ছয়তলা ভবন থেকে ঢালাই মেশিন নামাতে গিয়ে দুই শ্রমিক নিহত ।

রবি জুন ২৮ , ২০২০
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহীতে ছয়তলা থেকে ঢালাই মেশিন পড়ে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ছয়তলা ভবনের নিচে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বিদিরপুর মাদ্রাসা মোড় গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আবু সাঈদ (৪০) ও পবা উপজেলার কর্ণহার এলাকার […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links