নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ৭৯তমদিনে দেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। কিন্তু দেশের করোনা পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে রাজশাহীতে অবস্থানরত বেশিভাগ মানুষেই ঘরে বসে ঈদ উদযাপন করছেন। তবে রাজশাহীর বেশকিছু এলাকায় দেখা গেছে এর উল্টো চিত্র। করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করে অনেকেই ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন। ভিড় করছেন মহানগরের বিভিন্ন এলাকার মোড়, ও চায়ের দোকানগুলোতে, কিন্তু ফাঁকা আছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত এলাকা ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো । তবে সড়কে রিকসা মোটরসাইকেল ছাড়া ভারী যানবাহন বা গাড়ি লক্ষ্য করা যায়নি।
সোমবার (২৫ মে) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহীর বর্ণানীর মোড়, সাহেব বাজার, লক্ষীপুর, কোর্ট বাজার, কাশিয়াডাংগা, তালাইমারী , ভদ্রার মোড় সহ প্রধান ও শাখা সড়কগুলো তে কিছু মানুষের জটলা দেখা গেছে । এর উল্টো চিত্র পদ্মার পাশের উদ্যান, চিড়িয়াখানা, শিশুপার্ক সহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছিল সম্পুর্ণ ফাঁকা। অনেকে আবার সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা নিয়ে ঘুরতে ফিরছেন নগরময় ।
উল্লেখ্য, রাজশাহীতে ঈদের দিন প্রতি বছর চারদিকে থাকে নানা আয়োজন। পরিবার-পরিজন নিয়ে সবাই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। নগরীর বিনোদনকেন্দ্রগুলো সাজে নতুন সাজে। বিশেষ করে পদ্মা পার এবং দুটি পার্ক ঘিরে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম। মহামারি করোনাভাইরাস সবকিছুতেই যেন বাদ সেধেছে। কোথাও বিনোদনপ্রেমীদের আড্ডা দেখা যায়নি আজ সকাল থেকে।
আজ সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বন্ধ রয়েছে কামারুজ্জামান পার্ক, ও শিশু পার্কসহ অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্র। ঈদের ছুটিতেও খোলেনি এসব বিনোদন কেন্দ্র। চিরায়ত উদযাপনের যে ধারা যুগ যুগ ধরে প্রচলিত তা এ বছরে পুরোপুরি বিপরীত।
তবে প্রায় দুই মাস ধরে চলমান সাধারণ ছুটিতে গৃহবন্দি মানুষ আজ ঈদের দিন পাড়া-মহল্লা ও মোড়গুলোতে আড্ডা মারতে দেখা যায়। পাড়ার রাস্তার ধারের চা-স্টলগুলোতেও কোথাও কোথাও চা বিক্রি করতে দেখা যায়।
এদিকে মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানগুলোও খুলতে দেখা যায়। চা খেতে থাকা সুমন বলেন, অনেকদিন চা খাওয়া হয় না বাইরে। তবে আজ বের হয়েছি চা খেতে। ঈদে আমরা অনেক আড্ডা দেই। তবে এবার ঈদে করোনা আতঙ্কে তেমন আড্ডা হলো না।