এবারের কোরবানির পশুর চামড়ার দাম কমলো ২২ শতাংশ ।

আভা ডেস্কঃ এবার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম ২২ দশমিক ২২ শতাংশ কমানো হয়েছে। ঈদুল আজহা উপলক্ষে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ঢাকায় ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ২৮ থেকে ৩২ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।

গত বছর এ দাম ছিল যথাক্রমে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা ও ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। সে হিসাবে দাম কমেছে ঢাকায় ১০ টাকা ও ঢাকার বাইরে ৮ টাকা।

এ ছাড়া সারা দেশে খাসির চামড়া ১৩ থেকে ১৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১০ থেকে ১২ টাকা ধরা হয়েছে। গত বছর খাসির চামড়ার দাম ছিল ১৮-২০ টাকা। এ ক্ষেত্রে গত বছরের চেয়ে দাম কমানো হয়েছে ২৫ শতাংশ। পাশাপাশি বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা, গত বছর যা ছিল ১৩-১৫ টাকা। এ ক্ষেত্রে দাম কমানো হয়েছে ২০ শতাংশ।

রোববার কোরবানির পশুর কাঁচাচামড়ার মূল্য নির্ধারণ বিষয়ে এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

গতবার আড়তদারদের কাছ থেকে চামড়ার দাম না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।

‘ন্যায্যমূল্য’ না পেয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় ও আবর্জনার ভাগাড়ে চামড়া ফেলে গিয়েছিলেন ফড়িয়ারা।

আড়তদারদের অভিযোগ ছিল– ট্যানারি মালিকরা তাদের দীর্ঘদিনের বকেয়া টাকা পরিশোধ করছেন না। ফলে তারা নতুন করে চামড়া কেনার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন।

অন্যদিকে ট্যানারি মালিকদের অভিযোগ ছিল– ‘সিন্ডিকেট’ করে আড়তদাররা মাঠপর্যায়ে চামড়ার দাম কমিয়ে দিলেও ট্যানারিগুলোর কাছে তারা সরকার নির্ধারিত দামেই চামড়া বিক্রি করছেন।

এবার দাম আরও কমল। এতে চামড়ার হকদার দরিদ্রদের প্রাপ্য আরও কমে গেল।

তবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, এবারও যদি চামড়ার দামে সমস্যা দেখা যায়, তা হলে কাঁচাচামড়া ও ওয়েট-ব্লু লেদার বা আংশিক প্রক্রিয়াজাত চামড়া রফতানির অনুমোদন দেয়া হবে। এবার যেন কিছুটা দাম পাওয়া যায়, সে জন্য কাঁচাচামড়া ও ওয়েট-ব্লু লেদার বা আংশিক প্রক্রিয়াজাত চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে এখনই রফতানির ঘোষণা দেয়া হয়নি। বরং চামড়া নিয়ে যদি গতবারের মতো সমস্যা হয়, তা হলে রফতানির সুযোগ দেয়া হবে। এ জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিও গঠন করা হয়েছে।এ কমিটি রফতানির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

Next Post

আসুন জেনে নিই বর্ষাকালে গর্ভবর্তী মায়ের যত্ন সম্পর্কে ।

রবি জুলাই ২৬ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ বর্ষাকালে রোগবালাই একটু বেশিই হয়ে থাকে। এ সময় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, সর্দি-কাশি, জ্বর, মাথাব্যথা, পেটের সমস্যা বেশি হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গাইনি কনসালট্যান্ট ডা. সোনিয়া সিদ্দিকা বলেন, বর্ষায় স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার কারণে ব্যাক্টেরিয়া-ভাইরাস জেগে ওঠে। আর পোকামাকড়ের প্রজনন বেশি হয়। ফলে সংক্রমণ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে। তাই এ সময় গর্ভবতী মায়েদের নিতে […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links