এম আর করিম : অনুসন্ধানী প্রতিবেদক
রাজশাহী মহানগরীতে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৮ হাজার ৯৩২। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৩১ হাজার ২২৩। নতুন এ ভোটারদের কথা মাথায় রেখে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে সুনির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছে। শিক্ষা নগরীতে কর্মমুখী তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের জন্য সহায়ক ও উপযোগী কর্মসূচি দেয়ার কথাও বলছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। আর এ কারণেই নৌকার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন নতুন ভোটাররা।
প্রতিবেদকের কাছে তরুণ প্রজন্মের আশার আলো এখন আগামীর ৩০ জুলাইয়ের সিটি নির্বাচন যেখানে লিটনের জয় চাই তারা, নিজেদের অপূর্ণ আশা পূর্ণ করতে।
লক্ষাধিক বেকারের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নতুন ভোটারদের মন কেড়েছেন রাসিক নির্বাচনে ১৪ দলের মনোনীত মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে গার্মেন্ট ও চামড়া শিল্প প্রতিষ্ঠা, বিশেষ অর্থনৈতিক জোন এবং বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক দ্রুত বাস্তবায়নের ফলে এ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া বাস্তবায়নাধীন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিশ্রুত পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে- এমন তথ্য প্রচারে তুলে ধরছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী লিটন। আগের দফায় (২০০৮-১৩) লিটন মেয়র পদে থাকাকালে ফ্রি ওয়াইফাই জোন প্রতিষ্ঠা করে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নজর কাড়েন। সর্বোপরি এবারের রাসিক নির্বাচনে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সুনির্দিষ্ট ঘোষণার কারণে নতুন ভোটারদের আস্থা অর্জন করেছেন লিটন। নতুন ভোটাররা মনে করছেন, লিটন মেয়র নির্বাচিত হলে তাদের বেকার সমস্যার সমাধান হবে। তাই তারা চাইছেন, ৩০ জুলাইয়ের নির্বাচনে লিটনই মেয়র নির্বাচিত হন। নগরীর নতুন ভোটাররা গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন সময় মাধ্যমে এমনটিই জানিয়েছেন।
প্রতিবেদক ১ নং ওয়ার্ড থেকে প্রায় সব কটি ওয়ার্ডের নতুন ভোটারদের সাথে কথা বলে জানতে পারেন ১৪ দল সমর্থিত প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রতি দুর্বল নতুন প্রজন্ম। তাদের ভাষায় একমাত্র লিটনই পারে রাজশাহী শহর বদলাতে এবং বেকার সমস্যার সমাধান দিতে। তরুণদের আশা খায়রুজ্জামান লিটন পাস্ করলে তার নির্বাচন ইশতেহারে যে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা তিনি পূর্ণ করবেন।
নতুন তরুণ ভোটারা জানান, রাজশাহীতে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বেই বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক দ্রুত বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। আর অল্প সময়ের মধ্যেই এর কাজ শেষ হবে। চাকরি পাবেন কম্পিউটার শিক্ষা গ্রহণকারী ১৪ হাজার তরুণ-তরুণী। সিলিকন ভ্যালি হিসেবে রাজশাহী সারা বিশ্বে পরিচিতি পাবে। আমাদেরও এখানে কর্মসংস্থান হবে। আর এ কারণেই আমরা লিটনের নেতৃত্বের প্রতি দুর্বল। আমরা মনে করছি, লিটন আবারও মেয়র নির্বাচিত হলে তার দেয়া প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী লাখো বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এজন্য আমরা নতুন ভোটাররা তাকে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করতে চাই।
তরুণদের ব্যাক্ত ভাষায় :
জাতীয় চার নেতার অন্যতম এএইচএম কামারুজ্জামানের ছেলে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র থাকাকালে নগরীর বড়কুঠি পদ্মার পাড়ে তরুণদের জন্য ওয়াইফাই জোন তৈরি করেন। কিন্তু বুলবুল মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর সে সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এটি এখনও চালু হয়নি। পদ্মা পাড়ের সৌন্দর্যও বিলীন হয়ে গেছে। এ দুটি বিষয় নিয়েও ক্ষোভ আছে তরুণদের। তাদের অনেকেই এবার নতুন ভোটার হয়েছেন।
তরুণ ভোটারদের প্রত্যাশা পূরণের ব্যাপারে মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের জন্য রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক হচ্ছে বলে আমরা ইশতেহারে বলেছি। তরুণ উদ্যোক্তা তৈরির জন্য শিল্প সহজীকরণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। শিল্পে গ্যাস দেয়ার কথা আমরা বলেছি এবং সেটি হবে। এছাড়া তরুণদের বিনোদনের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ, কমিউনিটি হলসহ বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। তাছাড়া তরুণ প্রজন্মের জন্য বড় সমস্যা হল মাদক। আমি নির্বাচিত হলে মাদকের বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
জ/ সে