নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আইনের আশ্রয় না নিয়ে বিয়ের দাবিতে ফেইসবুকে ঝড় তুলেছেন রাজশাহী তেরখাদিয়া এলাকায় বসবাসরত এক নারী । নাম তার আয়েশা আক্তার লিজা । একজন সাংসদের স্ত্রী দাবি করে তিনি একের পর এক পোস্ট দিচ্ছেন ফেইসবুকে ।
যার বিরুদ্ধে তিনি ফেইসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন, তিনি রাজশাহী বাগমারা ৪ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক । তিনি তার বাগমার ৪ আসনে পর পর তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য । তার এলাকায় তিনি বহু উন্নয়ন মুলক কাজ করেছেন ।
এলাকায় জনপ্রিয়তা থাকায় ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়নে পেয়ে সম্মানিত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ।
সম্প্রিতি তার দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে লিজা আক্তার আয়েশা নামের এক নারী ফেইসবুকে নানা পোস্ট শেয়ার করছেন । লিজা আক্তার আয়েশা নামের ওই নারী নিজেকে এমপির স্ত্রী দাবি করছেন। যা এমপি স্বিকার করেছেন । তারপরও সেই নারী কেন কোন উদ্দেশ্য হাসিল করতে বারবার তাকে নিয়ে পোস্ট করছেন সেটা কারো বোধ্যগম না হলেও তার পূর্বের ইতিহাস ঘেঁটে বের করেছে সংবাদকর্মীরা।
জানা যায় ঐ নারী বর্তমানে নগরীর তেরখাদিয়া এলাকায় তার নিজস্ব বিলাসবহুল বাড়িতে থাকেন। মোটা অংকের অর্থ হাসিলের চেষ্টায় মেতে উঠেছেন ঐ নারী যা তার ফেইসবুক পোস্ট বা জনসমূখে প্রকাশের ধরনই বলে দেয় ।
আইনত তিনি বিচার প্রার্থী হলে বা তার সাথে কোন প্রকার অন্যায় হলে তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন এটাই স্বাভাবিক । কিন্তু তিনি সেটা না করে সাংসদকে হেয়প্রতিপন্ন করতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন । সামাজিকভাবে একটি মুসলমান পুরুষ একাধিক বিয়ে করতে পারেন, আবার সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হলে বা মতের মিল না হলে তারা একে অপরকে তালাকও দিতে পারেন । তাই বলে সামাজিকভাবে কটু দৃষ্টিসম্পূর্ণ করতে একজন সম্মানিত ব্যাক্তিকে নিয়ে ফেইসবুকে পোস্ট করার কারণ এখন উন্মুক্ত । কারণ কোন এক মহলের সাথে হাত মিলিয়ে অর্থনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা সহ সম্মানহানি অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন তিনি, যা তার পূর্বের ইতিহাস প্রমান করে ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, লিজা ২০০৫ সালের দিকে নগরীর ঘোষপাড়ার মোড়ে একজন খারাপ মেয়ের সাথে ভাড়া বাসায় থাকতেন । তার বাবা মা গরীব হওয়ায় তাদের সংসার টানাপোড়ার মধ্যেই চলত। দশম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় এক হিন্দু ছেলের সাথে পালিয়েও যায় লিজা, পরে তা আদালত পযর্ন্ত গড়ালেও পরে তা পারিবারিকভাবে মিমাংসা হয় ।
এরপর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধনাঢ্য পরিবারের ছেলেদের ফাঁসিয়ে অর্থ আদায় সহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন তিনি । তারপর থেকে তাকে আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি, রুপের বদৌলতে প্রতারনা করে গাড়ি বাড়ির মালিক বনে যান রাতারাতি ।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, রাজশাহী তালাইমারীতে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়ে স্বামী – স্ত্রী পরিচয়ে ভাড়া ছিলেন দীর্ঘদিন।তাছাড়াও ডলার নামের এক সহজ সরল ছেলেকে বিয়ে করে তার সাথেও প্রতারনা করেন।
লিজা একটি এনজিও খুলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষের চেক নিয়ে তা দিয়ে ব্লাকমেইল করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিতেন । কেউ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলেই তার বিরুদ্ধে নানা হয়রানি মুলক মামলা দেওয়াও ভয় দেখাতেন তিনি যা একজন প্রত্যক্ষদোষী জানান ।
সাংসদ তার উশৃংখল জীবনের কারনে তাকে ডিভোর্স দিলে ক্ষোভে আর লোভে পরে সাংসদকে ভয় ভিত্তি প্রদর্শনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা কূরুচিপূণ কথা ব্যক্ত করেন লিজা ।তিনি তার নিকট মোটা অংকের অর্থ হাসিলের চেষ্টার লিপ্ত হয়ে নানা ভাবে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেন এমপি এনামুল হক ।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার তোলপাড় হলে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা বিষয়টি নজরদারি করছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে ।
অপরদিকে তার আয়ের বিভিন্ন উৎস খুজতে গোপনে তদন্ত করছে দুদক, এমনটা জানিয়েছেন রাজশাহী দুদকের একাধিক কর্মকর্তা ।
এ বিষয়ে কথা বলতে লিজা সাথে যোগাযোগা করতে তার মোবাইল ফোনে ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ করেনি ।