নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রামেক হাসপাতালের অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের গ্রেপ্তারের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ৯ দফা দাবিও জানিয়েছেন। বেলা ১১টার দিক থেকে তারা এ কর্মসূচি শুরু করে দুপুর সাড়ে ১২ পর্যন্ত চালান। এসময় বন্ধ হয়ে যায় রাজশাহী-ঢাকা মহাসকের ওই অংশ দিয়ে যান চলাচল। বিকল্প পথে যান চলাচল করেছে।
এদিকে নয় দফা দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, শাহরিয়ারের মৃতদেহের পাশে অবস্থানকালে তার সহপাঠীদের উপর নৃশংস হামলা হত্যাচেষ্টা এবং শিক্ষক লাঞ্ছনায় জড়িত ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় এবং আনসারদের অতিদ্রুত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে এবং তাদের প্রত্যেককেই তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনতে হবে।
রামেকের ডিরেক্টর শামীম ইয়াজদানীর অসংলগ্ন আচরণ ও প্রত্যক্ষ মদদে বর্বরোচিত হামলার ঘটনাটি ঘটে। কুখ্যাত এই পরিচালকের অপসারণ করতে হবে। রামেকের অব্যবস্থাপনা ও জরুরি মুহুর্তে ফর্মালিটিজের নামে সাধারন মানুষের হয়রানি, চাঁদাবাজি এবং ক্লিনিকগুলোর সাথে যোগসাজশ বন্ধ করতে হবে।
রামেকে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। ডাক্তারদের দোষ ওয়ার্ডবয়দের উপর, ওয়ার্ডবয়দের দোষ ডাক্তারদের উপর চাপিয়ে দেবার সংস্কৃতি আর চলবে না । ৫. এমপি বাদশার বেশামাল, অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। অসংলগ্ন কথাবার্তার জন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
ইন্টার্ন ডাক্তারদের স্বেচ্ছাচারিতা, রোগী এবং রোগীর অভিভাবকদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরন, অভিযোগ জানাতে গেলে অভিবাবকদের উপর অস্ত্রোপচার সামগ্রী দিয়ে আক্রমণের বদোভ্যাস পরিহার করতে হবে। সর্বোপরি মানবিক ও আন্তরিক হতে হবে। জরুরী বিভাগে সিনিয়র ডাক্তারদের উপস্থিতিতে জরুরী চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। ডাক্তারদের দায়িত্ব চলাকালীন সময়ে নার্স/ওয়ার্ডবয় দিয়ে প্রক্সি দেওয়ানো চলবে না ।
আইসিউ ব্যবস্থা সহজ করতে হবে। ভিসি এবং প্রক্টর স্যারের সিগনেচারের নামে টালবাহানা করে যে কালক্ষেপণ করা হল তা দ্বিতীয় কারও সাথে করা হবেনা, এই নিশ্চয়তা দিতে হবে। ঘটনা তুলে ধরতে হবে। ৯. অনতিবিলম্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতির কাছে প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করে সবাইকে প্রকৃত সত্য ঘটনা জানার সুযোগ করে দিতে হবে।
দাবি না মানলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে তারা অবরোধ তুলে নেন।
