অপেক্ষার পালা লম্বা হলো মুমিনুলের ।

আভা ডেস্কঃ টেস্ট অধিনায়ক তিনি। সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার পর পরই তার কাঁধে আসে দায়িত্ব। নেতৃত্বে আঁটসাঁট মুমিনুল হক ওই জায়গায় নিজের অবস্থান তৈরি করে নিচ্ছিলেন। মাঠের ২২ গজের মতো অধিনায়কত্বেও আস্থা অর্জন করছিলেন। কিন্তু করোনা মহামারিতে লম্বা বিরতি সব করে দিলো ওলট-পালট।

বাংলাদেশ অনেক দিনের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। মুমিনুল বাইরে আরও আগে থেকে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে খেলেছিলেন শেষ ম্যাচ। এরপর অপেক্ষা, আর অপেক্ষা। শ্রীলঙ্কা সফর বাতিলে সেই অপেক্ষা আরও লম্বা হলো। তাই তো ব্যাট হাতে উদ্দীপ্ত মুমিনুলের কণ্ঠে বেদনার সুর, ‘চেয়েছিলাম তো মাঠে ফিরতে। এজন্য অনুশীলনে কোনও ঘাটতি রাখছিলাম না। ব্যক্তিগত ট্রেনিং শেষে দলগত ট্রেনিং করছিলাম। কিন্তু সিরিজটি তো স্থগিত হলো। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন আসলেও কঠিন হতো।’

গত জুলাইয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তিন ম্যাচ খেলতে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। করোনা মহামারিতে দুই বোর্ড আলোচনায় সিরিজ স্থগিত করে। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় জৈব সুরক্ষা বলয়ে সিরিজ আয়োজনে আলোচনা করে দুই বোর্ড। কিন্তু দ্বীপরাষ্ট্রে সফরের জন্য ১৪ দিনের কঠোর কোয়ারেন্টাইন মানতে হতো। চলতে হতো সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক। কোয়ারেন্টাইন কড়াকড়িতে সফরে আগ্রহী না হওয়ায় সিরিজটি আবার পিছিয়ে যায়। তাতে বেড়েছে মুমিনুলের অপেক্ষা।

এ বছর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নেই। জানুয়ারিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের ‘পকেট ডায়নামো’ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন নতুন বছরের, ‘জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আসার কথা রয়েছে। ওরা এলে ক্রিকেটে ফিরতে পারবো। অন্যথায় আমার অপেক্ষা আরও লম্বা হতে পারে।

২০১৩ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্টে অভিষেক মুমিনুলের। ৪০ ম্যাচে ৪০.৮৫ গড়ে ২৮৬০ রান করা মুমিনুলের ক্যারিয়ারে দশ মাসের বিরতি কখনও আসেনি। দুই টেস্টের মাঝে সর্বোচ্চ আট মাস দূরে ছিলেন, সেটাও ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সে সময়ে রঙিন পোশাকের দলে ছিলেন। তাই দীর্ঘ সময় টেস্ট না খেললেও সমস্যা ছিল না। বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক এক ফরম্যাটের জন্যই বিবেচিত। ফলে টেস্ট ম্যাচ না হলে তাকে দেখা যায় না সবুজ মাঠে।

এ নিয়ে বরাবরই তার আক্ষেপ। তিন ফরম্যাটে খেলতে চান এমন পণ নিয়েই শুরু করেছিলেন ক্রিকেট। শুধুমাত্র টেস্টের জন্য তাকে রাখা হয় বিষয়টি মাঝে মাঝে মানতেও পারেন না। সরাসরি কিছু বলতেও পারেন না, ‘বিষয়টি মোটেও আমার হাতে নেই। যারা দল সাজায় শুধুমাত্র তারাই বলতে পারবে কেন আমি নেই ওয়ানডেতে?’

সিরিজ স্থগিত হলেও থেমে থাকবে না ক্রিকেটারদের অনুশীলন। ১৫ দিনের স্কিল ট্রেনিং ক্যাম্প চালাবে টিম ম্যানেজমেন্ট। এ সময়ে দুইটি দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ ও একটি তিনদিনে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ২৭ ক্রিকেটার। মুমিনুলের আপতত নজর সেখানে। সঙ্গে একটাই প্রার্থনা, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলে ভালো। নিশ্চিন্তে মাঠে নেমে খেলতে পারবো।

Next Post

আমি যদি ভিলিয়ার্স হতে পারতাম, কোহলি ।

মঙ্গল সেপ্টে. ২৯ , ২০২০
আভা ডেস্কঃ বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় তারকা ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। অসাধারণ ধারাবাহিকতায় নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। অথচ সেই কোহলি কিনা হতে চান ভিলিয়ার্স, এবি ডি ভিলিয়ার্স। এবারের আইপিএলে আশ্চর্য ব্যতিক্রম ব্যর্থ সময় পার করছেন কোহলি। এখন পর্যন্ত প্রথম তিন ম্যাচে করতে পেরেছেন ১৮ রান। অপরদিকে […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links