নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ২০১৫ সালের মাস্টার্স ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শেষ হয়েছে গতবছরের অক্টোবরে। কিন্তু ৬ মাসের মত সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও ফল পায়নি শিক্ষার্থীরা। ফলে তারা বিভিন্ন চাকুরিতে আবেদন করা থেকে পিছিয়ে পড়ছেন এবং একইসঙ্গে তাদের হতাশাও বাড়ছে। এজন্য শিক্ষকদের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন তারা।
চারুকলা অনুষদ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে চারুকলা বিভাগ ভেঙে গ্রাফিক ডিজাইন, মৃৎশিল্প ও ভাষ্কর্য এবং চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা স্বতন্ত্র তিনটি বিভাগ হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। এর আগে বিভাগ তিনটি একত্রে চারুকলা বিভাগ নামে পরিচিত ছিল। ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে চারুকলা বিভাগের অধীনে যারা ভর্তি হয়েছিলেন তারা এখনও মাস্টার্সের ফলাফল নিয়ে বের হতে পারেননি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করার কথা বলা আছে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ২০১৪ সালে স্নাতক সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়েছে ২০১৬ সালে। হিসাব মতে ২০১৫ সালে তাদের মাস্টার্স শুরু হওয়ার কথা ছিল। দীর্ঘ সময়ের সেশন জটে পড়ে তারা ২০১৮ সালে মাস্টার্সের ক্লাস শুরু করেন। ওই বছরের সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়। ৪৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। নন থিসিস গ্রুপের তিনটি লিখিত (থিসিস গ্রুপের একটি) ও তিনটি ব্যবহারিক কোর্সের পরীক্ষা শেষ হয় ১১ই অক্টোবর। থিসিস গ্রুপের ২৭ জন শিক্ষার্থীর মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে।
ভুক্তভোগী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, দ্রুত ফল প্রকাশের জন্য একাধিকবার তারা শিক্ষকদের কাছে গিয়েছেন। তবে শুধু আশ্বাসই পেয়েছেন। কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘সম্প্রতি একটি চাকরির সার্কুলার হয়েছে। সেখানে মাস্টার্সের রেজাল্ট চাওয়া হয়েছে। তাতে আবেদনের শেষ তারিখ ২০ মে। এর মধ্যে ফলাফল প্রকাশ হলে আমাদের ওই সার্কুলারে আবেদনের সুযোগ তৈরি হত।’
ওই বর্ষের পরীক্ষা কমিটির সভাপতি হিসেবে আছেন মৃৎশিল্প বিভাগের সভাপতি মোস্তফা শরীফ আনোয়ার। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই টেবুলেশন কমিটি করে দিয়েছি। কিন্তু একটা কোর্সের নম্বর এখনও জমা পাইনি। তাই ফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে।’ কোন কোর্সের নম্বর জমা হয়নি জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
অনুষদের ডিন সিদ্ধার্থ শঙ্কর তালুকদার বলেন, ‘ফলাফল তৈরির কাজ চলছে। যত শীঘ্রই সম্ভব ফলাফল প্রকাশ করা হবে।’