বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। এটি গ্রীষ্মের রসালো ফলের তালিকায়ও রয়েছে। খেতে সুস্বাদু কাঁঠাল পুষ্টিগুণের দিক থেকেও অনন্য। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন পাওয়া যায় কাঁঠাল থেকে। ফ্যাট ও ফাইবার সমৃদ্ধ ফলটি শরীরের জন্য যেমন উপকারী, তেমনি এর বিচিতেও রয়েছে অনেক গুণ।
উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে কাঁঠাল।
কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
কাঁঠালে আছে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালোরি। ফলে কাঁঠাল খেলে তাৎক্ষণিক পাবেন শক্তি। এতে কোলেস্টেরল না থাকায় শরীরের জন্য নিরাপদ।
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ফ্ল্যাভোনয়েড থাকায় কাঁঠাল ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারে। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে ফ্রি রেডিক্যাল প্রতিরোধ করে, যা ক্যানসার সৃষ্টির জন্য দায়ী।
কলা ও আমের তুলনায় নিয়াসিন ও থায়ামিন বেশি থাকে কাঁঠালে। তাই এটি অ্যাথলেটদের জন্য একটি দারুণ এনার্জি ফুড। এটি ক্লান্তি দূর করে, পেশি সবল করে ও মস্তিষ্ক সতেজ রাখে।
মলাশয় ও ফুসফুস ক্যানসার রোধে ভূমিকা রাখে কাঁঠাল। মলাশয় থেকে টক্সিন বের করে দিয়ে ক্যানসার হওয়া রোধ করে।
কাঁঠালে পটাশিয়াম থাকে, যা শরীরে সোডিয়াম লেভেল ঠিক রাখে। এতে করে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা হয়।
প্রচুর আঁশ থাকে কাঁঠালে, তাই হজম শক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আলসারসহ হজমের অন্য সব রোগ সারিয়ে তোলে।
কাঁঠালে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে, যা দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো। এই ফল খেলে চোখের ছানি পড়া, রাতকানা রোগ ও চোখের সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন আপনি।
ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে কাঁঠালে। তাই এটি হাড় মজবুত রাখে। অস্টিওপোরসিস রোগ প্রতিরোধ করে।
কাঁঠাল আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াবে।
থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য রক্ষার জন্য কপার খুব গুরুত্বপূর্ণ। কাঁঠালে থাকা কপার তাই থাইরয়েড গ্রন্থিকে ভালো রাখে।
কাঁঠালের বিচিতেও রয়েছে প্রোটিন। ভর্তাসহ নানা পদের খাবার তৈরি করা হয় এটি দিয়ে। কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে কাঁঠালের বিচি খেতে পারেন। এটি শরীরের রক্ত সরবরাহ বাড়ায়। ফলে ভালো থাকে ত্বক ও চুল।
বৈশাখী টেলিভিশন।