আভা ডেস্ক: আগামি ৩০ জুলাই রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মেয়র নির্বাচিত হলে রাজশাহীর বেকারত্ব দূর করতে কাজ করবেন লিটন বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ। রাসিক নির্বাচন নিয়ে ছাত্রলীগের মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাজশাহী সিটি করপোরশেন নিয়েপ্রচার প্রচারণা কেমন চলছেআওয়ামী লীগ প্রার্থী লিটনের, ছাত্রলীগ লিটনের পক্ষে কী বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন-এনিয়ে সিল্কসিটিনিউজের মুখোমুখিহয়েছিলেন মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি রকি কুমার ঘোষ। সিল্কসিটি নিউজে তার সাক্ষাতকারটি তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।
সিল্কসিটিনিউজ:রাজশাহী ক্লিনসিটি,গ্রীনসিটি হিসেবে কতটুকু মনোনীত, একজন তরুন নেতা হয়ে বিষয়টি কিভাবে দেখছেন?
রকি: ২০০৮ সালে লিটন ভাই যখন প্রথম মেয়র হিসেবে এসেছিলেন তখন রাজশাহীকে গ্রীন সিটিতে রুপান্তর করার জন্য কাজ করেছেন। ২০১৩ সালে লিটন ভাই যখন হেরে গেলেন তারপর থেকে রাজশাহীতে কোরন কাজই হয়নি। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে রাজশাহী যে গ্রীনসিটি উপাধী পেয়েছে লিটন ভাই ছিল বলে পেয়েছি। কিন্তু বর্তমান মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ভাই মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর পরিবেশ বান্ধব গাছপালা কেটে ফেলেছেন। যার ফলে রাজশাহীর সৌন্দর্য আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সিল্কসিটিনিউজ: ক্লিনসিটি খ্যাত রাজশাহীর অলিগলিতে,পুকুরে এখনো ময়লা আবর্জনা ফেলা হয়। আদৌ কি ক্লিনিসিটি রাজশাহী হিসেবে বিবেচিত হয়েছে? যদি না হয় তবে কি কি করণীয় আছে?
রকি: একটি জায়গায় কাজ করতে হলে সময় দিতে হবে। লিটন ভাই রাসিক মেয়র থাকাকালীন রাজশাহী ৭০ শতাংশ কাজ হয়েছে। তার আগে মিজানুর রহমান মিনু ভাই মেয়র ছিল কিন্তু তখন যা কাজ করেছেন তাতে রাজশাহীর উন্নয়ন হয়নি। লিটন ভাই নির্বাচিত হয়ে চার বছরে কাজ করেছেন। তারপর বুলবুল ভাই এসে কোন কাজ করেননি। তাই বলতে চাই একটি মানুষকে কাজ করতে করতে তাকে মাঝ রাস্তায় ছেড়ে দেন সে কাজ কখনওই সম্ভব হয়না। ১৩ সালে নির্বাচিত হলে ড্রেন কালভার্ট থেকে শুরু করে সকল অসামাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত হতো।
সিল্কসিটিনিউজ: দেশের অন্যান্য নগরীর চেয়ে রাজশাহী অনেক পিছিয়ে। এর থেকে উত্তরনের উপায় কি বলে আপনি মনে করেন?
রকি: রাজশাহীর আরও অনেক উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল। রাজশাহীর মানুষের জন্য যে কর্মসংস্থান ব্যবস্থা তা লিটন ভাই থাকাকালীন বাস্তবায়ন হয়েছিল। ৯০০ কোটির মধ্যে ৫০০ কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়িত হয়েছিল, বাকিটা বাস্তবায়ন হওয়ার পথে ছিল। তার সেই কাজের জন্যই আমরা এখন দেখতে পারছি বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক হচ্ছে যেটা লিটন ভাই করেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে। এর মাধ্যমে রাজশাহীর বিভিন্ন প্রান্তে যেসকল তরুন ছাত্রছাত্রী আছেন তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এর বাদেও উপশহরে একটি ফ্যাক্টারী করার কথা আছে সেটার উদ্বোধন লিটন ভাই করেছেন। লিটন ভাই আগামিতে মেয়র হলে অজস্ত্র ফ্যাক্টারীসহ বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরতে পারবেন।
সিল্কসিটিনিউজ:রাজশাহীতে মাদক সমস্যা নিরসনে তরুন সমাজের কাছে আপনারা কি বার্তা নিয়ে যাচ্ছেন?
রকি: রাজশাহী সিটির মধ্যে মাদকবিরোধী যত অনুষ্ঠান হয়েছে সাবেক পুলিশ কমিশনার এবং বর্তমান পুলিশ কমিশনার করে গেছেন সে সকল অনুষ্ঠানে মহানগর ছাত্রলীগ অংশ নিয়েছে। আমরা চাই মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে। কারণ একটি পরিবারে যদি মাদকাসক্ত থাকে সে পরিবার ভাইরাস হয়ে যায়। একজন পুরো পরিবার নষ্ট করে দিবে। ধীরে ধীরে তা সমাজকে ধ্বংস করে দিবে। সে কারণে মহানগর ছাত্রলীগ মাদকের বিরুদ্ধে সবসময় অবস্থান নিয়েছে আগামিতেও শক্ত অবস্থান নিবে। রাজশাহী মাদক মুক্ত করতে আমরা কাজ করে যাব।
সিল্কসিটিনিউজ:নির্বাচনী ইশতেহারে এ নিয়ে কোন কিছু থাকবে কিনা?
রকি:এখন পর্যন্ত নির্বাচনী ইশতেহার আমাদের হাতে পৌছায়নি ।তবে মাদক নিরসনে এমন উদ্যোগ অবশ্যই থাকবে। ক্লিনসিটি মানে শুধু রাস্তাঘাট পরিষ্কার না, লিটন ভাইয়ের পরিকল্পনা মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে লিটন ভাই কাজ করে যাবে।
সিল্কসিটিনিউজ: কে হবে নগর পিতা তা নিয়ে তরুন সমাজের একটি বড় অংশ তাকিয়ে রয়েছে। রাজশাহীতে বেকারত্বের যে অভিশাপ আগামি নগর পিতা হিসেবে আপনাদের প্রার্থী কি বার্তা নিয়ে আসবে?
রকি: গত নির্বাচনের ইশতেহারে লিটনভাই বলেছিলেন রাজশাহীতে গ্যাস নিয়ে আসবেন। তিনি রাজশাহীতে গ্যাস নিয়ে এসেছেন। এর কারণ হলো গ্যাসের মাধ্যমে বিভিন্ন কলকারখানাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের তরুনেরা কাজ করতে পারবে। তার উদাহরণ হাইটেক পার্ক, সার্ভে ইন্সটিটিউট বাস্তবায়ন হয়েছে। আগামিতে রাজশাহীতে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হবে যেটা কোথাও নাই। রাজশাহীর চাওয়া পাওয়া আমাদের তরুন সমাজের চাওয়া পাওয়া। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে রাজশাহী এবং এর বাইরের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবেন। এটি তরুন সমাজের জন্য একটি সুসংবাদ। রাজশাহীতে যারা ছাত্রলীগ করি, পূরে্ব যারা ছাত্রলীগ করেছে তাদের মধ্যে টেন্ডারবাজির ঘটনা নাই। লিটন ভাই এমনই ব্যাক্তি যেন ছাত্রসংগঠনে কোনচাঁদাবাজি করতে পারবে না। ছাত্রলীগের কাজ ছাত্রদের নিয়ে। ছাত্ররা যাতে পরবর্তীতে উপকৃত হয় সে লক্ষ্যে মহানগর ছাত্রলীগ কাজ করবে।
সিল্কসিটিনিউজ:রাজশাহীতে বিকেএসপি, কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাধাগ্রস্থ হয়ে আছে। আপনি কি মনে করেন লিটন মেয়র নির্বাচিত হলে এগুলোর বাস্তবায়ন হবে বা কিভাবে বাস্তবায়ন হতে পারে?
রকি: বিকেএসপির অনুমোদন নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল লিটন ভাইয়ের আমলে। কিন্তু
অনুমোদন হওয়ার পরে সেটা নিয়ে আসতে পারেনি। রাজশাহীতে প্রথম ওয়াসা খায়রুজ্জামান লিটন ভাই স্থাপন করেন। তোর মাধ্যমে এখানে অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে এবং আমরা বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারি। নভোথিয়েটারও লিটন ভাই উদ্বোধন করেন। বর্তমান মেয়র যে আছে তার হাতেই সবকিছু। তাকে যে করতে দেয়া হচ্ছে না তা না। রাজশাহীতে জননেত্রী শেখ হাসিনা ৪৭৬ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছেন। তিনি (বর্তমান মেয়র) যতি এখন কাজ না করেন, কর্মচারীর বেতন না দেন সেটা তার ব্যাপার। লিটন ভাই থাকলে এগুলো অবশ্যই বাস্তুবায়ন হতো। তবে আমরা আশাবাদি আগামি ৩০ জুলাই নির্বাচনে যদি খায়রুজ্জামান লিটন ভাই আবার নির্বাচিত হয় তাহলে আমরা তরুন সমাজের পক্ষ থেকে দাবি জানাবে এবং লিটন ভাইয়েরও ইচ্ছা আছে যে রাজশাহী গ্রীনসিটিতে উপনীত হবে।
সিল্কসিটিনিউজ: রাজশাহী শিক্ষানগরী হয়েও নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছাতে পারেনি। রাজশাহীর অভিভাবকদের কাছে কোন বার্তা ইশতেহারে আছে কিনা।
রকি: অবশ্যই এমন কিছু নির্বাচনী ইশতেহারে থাকবে। এর আগেও বলেছি রাজশাহীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হবে, মহিলাদের জন্য স্কুল সরকারী করা হবে। ইতোমধ্যেই রাজশাহীর দুটি মডেল স্কুল সরকারী করা হয়েছে। অবশ্যই আমরা চাইবো রাজশাহীতে সরকারী স্কুল হবে। লিটন ভাই চান রাজশাহীর শিক্ষার মান আরও বৃদ্ধি হোক। তিনি মেয়র হলে রাজশাহীতে আরও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে।
সিল্কসিটিনিউজ: আপনাদের প্রার্থী মেয়র হিসেবে বিবেচিত করতে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ কিকি ভূমিকা পালন করছে?
রকি: ২০০৮ এবং ২০১৩ সালে লিটন ভাইয়ের পক্ষে আমরা কাজ করেছি। এখন ২০১৮ সালেও আমরা কাজ শুরু করেছি। গত দুই বছর ধরেই আমরা লিটন ভাইয়ের পক্ষে কাজ করছিলাম কিন্তু হত ১ মাস ধরে প্রচারণার কাজ ভালভাবে করছি। কারণ রাজশাহী মহাগর ছাত্রলীগকে লিটন ভাই সবচেয়ে বেশি ভাল বাসেন। তিনি আমাদের উপর আস্থা রাখেন। রাজশাহীর যারা নতুন ভোটার তারা ছাত্রলীগকে ভালোবাসেন এবং লিটন ভাইয়ের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে আমি, ছাত্রলীগ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিব এবং আনিকা ফারিহা জামান অর্না তিনজনে আমরা বৈঠক করে প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রচারণা করছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে আহবায়ক কমিটি করেছি যারা নিজ ওয়ার্ডে লিটন ভাইয়ের পক্ষে প্রচারণা করছে। আমরা চাইবো ৩০ জুলাই পর্যন্ত কেউ বসে থাকবে না। যতক্ষণ না লিটন ভাইয়ের জয় নিশ্চিত হচ্ছে ততক্ষণ আমরা কাজ করবো।
সিল্কসিটিনিউজ: রাজশাহী প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দল ক্ষমতার দাপট এ সমস্তের কারণে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে তা আগামীতে প্রার্থী যদি নির্বাচিত হন আপনারা কি ভাবে এসব বিষয় গুলো দেখবেন?
রকি: রাজশাহীতে বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে রাজশাহী প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের আওতাধীন কোন এমন ঘটনা ঘটেনি। ঘটেছে রুয়েটে। সেখানে আমাদের সভাপতি, সেক্রেটারি আছে। সভাপতি, সেক্রেটারি বাদেও আলাদা ভাবে কেউ যদি কোন্দল সৃষ্টি করে। ছাত্রলীগে ৩ শতাধিক ছেলে আছে। এর বাইরেও যারা এত ছাত্রদল এত শিবির গেল কোথায় এরাই কিছু নামধারি আমাদের মধ্যে প্রবেশ করেছে। যারা আমাদের মাঝে কোন্দল লাগিয়ে দিয়ে সরে যাচ্ছে। মাঝ খান থেকে আমরা যারা মূল নেতৃত্ব দিচ্ছি সভাপতি সাধারণ সম্পাদক তাদের মধ্যে ভেজাল লাগিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে। অবশ্যই ্ইতোমধ্যে আমরা এসব ফাইন্ড আউট করছি লিটন ভাই ও ডাবলু ভাই ফাইন্ড আউট করেছে। এ রকম ঘটনা যেন না ঘটে সে ক্ষেত্রে মহানগর, জেলা ও বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এক সাথে বসেছি, আলোচনা করেছি। যারা এমন বিশৃঙ্খলা করবে তাদের কে দল থেকে বহিস্কার করবো এবং আজীবনের জন্য বহিস্কারের জন্য সুপারিশ করবো। তারা যেন ছাত্রলীগ শুধু না আ’লীগের সাথে যেন সম্পকৃত না থাকতে পারে। এমন কঠোর ব্যবস্থা করবো। আগামীতে যদি লিটন ভাই মেয়র নির্বাচিত হয় তারপরে লিটন ভাই বলে দিবে কি ভাবে আমাদের চলতে হবে। এমন মেসেজ ইতোপুর্বে আমাদের দিয়েছে। ছাত্রলীগের দ্বারা রাজশাহী শহরে মেয়রের আগে ও পরে কোন যেন বিশৃঙ্খলা না হয়। আর যদি বিশৃঙ্খলা হয় অবশ্যই তার তাৎক্ষনিক আমরা ব্যবস্থা নিব।
সিল্কসিটিনিউজ: সিটি নির্বাচন নিয় আপনারা যে প্রচার প্রচারনায় যাচ্ছেন তার সাথে কিছু বার্তাও নিয়ে যাচ্ছেন সেগুলো সাধারণ মানুষ কিভাবে দেখছে?
রকি:আমরা শুধু ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যায়নি ওয়ার্ডেও প্রতিটি মহল্লায় যেসব বাসা আছে সেখানে গিয়ে কাজ করেছি। সেটাতে একটা জিনিস ক্লিয়ার হয়ে গেছে। রাজশাহীতে লিটন ভাইয়ের কথা যখন বলতে গেছি লিফলেট দেওয়ার আগে বলেছে এ মানুষটাকে এবারা আপনাদের কে আর বলতে হবেনা ভোট আমারা উনাকেই দিব। আমরা কারণ জানতে চাইলে তারা বলে একটাই কারণ গত ৪-৫ বছরে রাজশাহীতে কোন উন্নয়ন হয়নি আমরা কিছুই পাইনি। সবার মনে একটা মেসেজ ঢুকে গেছে রাজশাহীর উন্নয়নে এই লোক কেই দরকার। একেই দিয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কাজ হবে। কারন আপনাকে একটা জিনিস জানতে হবে। যার বাসা রাজশাহীতে স্থানীয় তাকে দিয়েই কিন্তু কাজ করানো সম্ভব। রাজশাহীতে কিন্তু তিনটা গত মেয়রের লিটন ভাইয়ের আগে ছিল। মিনু ভাই তার বাড়ি কিন্তু চাঁপাইনবাবাগঞ্জে। লিটন ভাইয়ের বাসা কিন্তু উপশহরে তিনি কিন্তু স্থানীয় তিনি জাতীয় চার নেতার একজনের ছেলে । বর্তমান মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল তার বাসা কিন্তু পুঠিয়া। তো আপনাকে ভাবতে হবে রাসিকে জন যদি কাজ করতে হয় যার যেখানে বাসা তার সেখানে তো দরদ তো সেখানেই থাকবে। সেখানে দরদের দিকে তাকিয়ে সিটি কর্পোরেশন বাঁচাতে হলে আমাদের কথা না প্রত্যেকের কথা জনগনের কথা এবার তোমাদের কে আসতে হবে । খায়রুজ্জামান লিটনকে আমার এননিতেই ভোট দিব। সে লোকটা ভালো মানুষ এবং রাজশাহীর জন্য অনেক কিছু করেছে দলমত নির্বিশেষে।
সিল্কসিটিনিউজ: বিরোধী দলের প্রচারনায় বাধা সৃষ্টি ব্যানার ফেস্টুন গুলো তুলে নিয়ে গেছে বিশেষ করে ছাত্রলীগ । এগুলো কি ছাত্রলীগ করছে না গুজব? এ বিষয়ে গুলো আপনি কিভাবে দেখছেন?
রকি: এটা আমার কানেও এসেছে। কিন্তু ইতোমধ্যে আপনারও জানা আছে বেশ কিছু দিন আগে আরডিএ মার্কেটের সামনে বরাবরই কিন্তু লিটন সাহেবের ব্যানার দেয়া থাকে। সেখানে লিটন ভাইয়ের ঈদ শুভেচ্ছা দিয়ে কিন্তু ব্যানার দেয়া ছিল। ব্যানার টা ঝড়ে কোন কারনে খসে পড়ে গেছিলো। কিন্তু সেখানে আমাদের বর্তমান মেয়রের ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ একটি ব্যানার টাঙিয়ে দিয়ে যায়। সেখানে গনমাধ্যমে ছাত্রলীগের সাথে মেয়রের ঝামেলা বলা হয়। কিন্তু ঝামেলা তো সৃষ্টি করে তারা। সেদিকদিয়ে যারা হাটা চলা করে তারা সবাই জানে লিটন ভাইয়ের ব্যানার টাঙানো ছিল। সেখানে কিন্তু অন্য করো ব্যানার নাই । সেক্ষেত্রে আমার কানে আসলো ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ নাকি তার ব্যানার ছিড়েছে । আমার মতে ছাত্রলীগ কেন আ’লীগের কোন নেতৃবৃন্দ কে দেখাতে পারবে না। আপনি একটা প্রমান করে দিন ছাত্রলীগ আপনার ব্যানার টেনে ছিড়েছে।রাজশাহীতে তো আর জায়গার অভাব নাই। ভদ্রাতেও তো বুলবুল ভাইয়ের ব্যানার টানানো আছে। সেটা এখনো সেভাবেই আছে। আমাদের কোন কর্মী কোন ব্যানারে হাত দেয়নি। গতবারের মতো আগামি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার একটা অপপ্রচার চালাচ্ছে মাত্র। এজন্য ছাত্রলীগ যুবলীগের উপর একটি অপপ্রচার দিচ্ছে যে আমাদের কাজ করতে দিচ্ছে না। আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি, কোন দলের কেউ বলতে পারবে না মহানগর ছাত্রলীগের কোন কর্মী বিএনপির কোন ব্যানারে হাত দিয়েছে।
সিল্কসিটিনিউজ: আগামি নির্বাচনে সকল দলের প্রার্থীরা তাদের সুযোগ সুবিধা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা একজন তরুন নেতা হিসেবে বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখেন?
রকি: প্রতিদ্বন্দী তনা থাকলে কোন নির্বাচন সম্ভব না। আমরা চাই বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি যতগুলো দল আছে সবাই অংশগ্রহন করুক। তা না হলে জনপ্রিয়তা পাবে না। তারা দেখতে পাচ্ছে খায়রুজ্জামান লিটনের জয় নিশ্চিত সেজন্য তারা অপপ্রচারে নেমে গেছে। রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে আমরা চাইবো অবশ্যই দল মত নির্বিশেষে সকল সংগঠন নির্বাচনে অংশগ্রহন করুক। অংশগ্রহন করলে যে জিতবে সেটাকে মেনে নিতে হবে আমাদেরকে। তাই আমি চাই এই নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহন করুক।
উৎস silkcitynews