আভা ডেস্ক: নারায়ণঞ্জে সাগর (৩৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তার স্ত্রীর কাছ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বন্দর ফাঁড়ির এসআই সামসুল হকের বিরুদ্ধে।
সাগরকে সোমবার রাতে বন্দরের ফরাজীকান্দার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। সাগরকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে পুলিশের অর্থ আদায়ের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ এমদাদুল হক বলেন, ভয়ভীতি কিংবা টাকা নেয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। সাগর একজন মাদক ব্যবসায়ী। সোমবার রাতে এসআই সামসুল হক ৫৫ পিস ইয়াবাসহ সাগরকে গ্রেফতার করে। এরপর মঙ্গলবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
এলাকাবাসী জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ফরাজীকান্দা এলাকার লাহর বাড়ি এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে সাগরকে সোমবার রাতে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সামসুল হক ধরে নিয়ে যান। এ সময় তার ঘর তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
মাদক ব্যবসায়ী সাগর মিয়ার স্ত্রী শাহনাজ বেগম জানান, বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সামসুল হক মোটরসাইকেলযোগে সোমবার আমাদের বাড়িতে এসে বাড়িঘরে তল্লাশি চালান। এ সময় সাগরকে ঘরে পেয়ে তুলে নিয়ে যান।
তিনি আরও জানান, রাতভর মারধর ও অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে সাগরের কান্নাকাটির শব্দ মোবাইলে আমাকে শোনান এবং ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন এসআই সামসুল হক। গভীর রাতে স্বামীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে নিরুপায় হয়ে ঘরে থাকা ৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকা এসআই সামসুলের হাতে তুলে দেয়া হয়। পরে মঙ্গলবার ৫৫ পিস ইয়াবা দিয়ে স্বামীকে কোর্টে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এসআই সামসুল হক সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, টাকা নেয়া হয়নি। সাগরের বিরুদ্ধে ৮-১০টি মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ জানান, বিষয়টি শুনেছি। তবে টাকার নেয়ার ব্যাপারটি সঠিক নয়। এছাড়া আমার আর কিছু জানা নেই।
এ ব্যাপারে ওসি একেএম শাহীন মণ্ডলের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান। যুগান্তর