Md. Rezaul karim, Rajshahi :
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাসিকের সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে তিনি এই ইশতেহার ঘোষণা করেন।
মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নির্বাচনী ইশতেহার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
কর্মসংস্থান: গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে গার্মেন্টস শিল্প, বিশেষ অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা ও বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক দ্রুত বাস্তবায়ন করে লাক্ষাধিক মানুষের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। ঐতিহ্যবাহী রেশম কারখানা ও রাজশাহী টেক্সটাইল মিলস পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করা। রাজশাহী জুটমিল সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা। কৃষি ভিত্তিক শিল্প স্থাপন করা যাথা- আম, টমেটো, আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পাটশিল্প আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে কুটির শিল্প (এসএমই ফাউন্ডেশনের সহায়তায়) উদ্যোগক্তাদের উৎসাহিত ও সহায়তা করা।
শিক্ষা: রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত বাস্তবায়ন করা। রাজশাহীতে পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা। শিক্ষানগরী রাজশাহীতে মান সম্পন্ন নতুন একাধিক বালক ও বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ স্থাপন করা। রাজশাহীতে পূর্ণাঙ্গ সঙ্গীত, আয়ুবেদিক ও ইউনানী চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় স্থাপন করা। রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক কলেজ ও হাসপতালের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ করা। রাজশাহী নগরীতে অবস্থিত সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ও মান উন্নয়ন করে শিশু শিক্ষা ও ভর্তি সমস্যা সমাধান করা। রাজশাহী অনগ্রসর বস্তিবাসী ও বিদেশে চাকরী পেতে আগ্রহীদের জন্য জনশক্তি রপ্তানীমুখী বিশেষ কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র স্থাপন করা।রাজশাহী সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ইংরেজি, আরবি, স্প্যানিশ, চায়নিজসহ বিশ্বের প্রধান প্রধান ভাষা শিক্ষার জন্য সার্টিফিকেট কোর্স চালু করা হবে। ইতোপূর্বে সাবেক মেয়র লিটন প্রতিষ্ঠিত ফ্রি ওয়াইফাই জোন পুনরায় চালু করা। ক্রমান্বয়ে সমগ্র মহানগরীর নাগরিক কেন্দ্রগুলোকে ফ্রি ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের অর্ন্তভূক্ত করা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক কলেজে উন্নীত ল্যান্ড সার্ভে ইন্সটিটিউটকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা। রাজশাহী নগরীতে আগত শিক্ষার্থীদের আসাবিক ও নিরাপত্তা সমস্যা সমাধানের সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা।
স্বাস্থ্য: রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন এক হাজার বেডের হাসপাতাল দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন ও চালু করা। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও মাতৃসদন স্থাপন করে নগরবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা। লিটন প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী শিশু হাসপাতালের নির্মাণাধীন নতুন ভবনের কাজ দ্রুত শেষ করে চালু করা।প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে প্রস্তাবিত পানি শোধনাগার প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগরবাসীর জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবারহের ব্যবস্থা করা। বস্তিবাসীর জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পানি, পায়খানা, ড্রেন, রাস্তা, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি করে জীবনমানের উন্নয়ন সাধণ করা।
আবাসন: নিম্ন আয়ের মানুষদের বসবাসের জন্য বহুতল বিশিষ্ট ফ্ল্যাট নির্মাণ করে সহজ কিস্তিতে মালিকানা প্রদান করা। মুক্তিযোদ্ধা, সম্মানিত শিক্ষক, আলেম ওলামা ও সাংবাদিকদের জন্য পৃথক আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা।
অবকাঠামো: নগরীর চারদিকে রিং রোর্ড ও লেক নির্মাণ করা, নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক গণশৌচাগার স্থাপন করা, নগরীর অনুন্নত রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা। নগরীর বসতবাড়িসমূহে শতভাগ গ্যাস সংযোগ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা। সিটি করপোরেশনের অধিনে পাবলিক প্রাইভেট পার্টানশীপ (পিপিপি) প্রজেক্টের আওতায় অসমাপ্ত প্রকল্পগুলি দ্রুত বাস্তবায়ন করা। যানজন নিরসনে তালাইমারী ও থেকে সিঅ্যান্ডবি মোড়, সাহেববাজার অন্যদিকে নিউমার্কেট হয়ে স্টেডিয়াস, বর্ণালী মোড় থেকে কামারুজ্জামান চত্বর হয়ে ভদ্রার স্মৃতি অম্লান পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ ও নগরীর ব্যস্ততম মোড় এবং রেলক্রসিং গুলোতে ওভারপাস নির্মাণ করা। হযরত শাহ মখদুম রূপোশ (রহ.) এর মাজার কমপ্লেক্সসহ নগরীর ঐতিহাসিক স্থানগুলোকে পর্যটন বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা।
নগরকেন্দ্রে ভূতপূর্ব ল্যান্ড সার্ভে ইন্সটিটিউটের জায়গায় কেন্দ্রীয় শহীদমিনার ও পূর্ণাঙ্গ সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স স্থাপন করা। মসজিদ. মন্দির, গীর্জা, গোরস্থান শ্বশানগুলো সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখা। নগরীর পুরাতন বাজারগুলোর অধুনিকয়ান ও এবং নগরীর সম্প্রসারিত অংশের উপযুক্ত স্থানে বাজার কাঠামো গড়ে তোলা। প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপেক্ষে একটি করে খেলার মাঠ স্থাপন করা। শিক্ষা ও চিত্রবিনোদনে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার এর নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে চালু করা। রাজশাহীতে পূর্নাঙ্গ টেলিভিশন কে্ন্দ্র চালু করা। নগরীর জন্য প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রস্তাবিত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন দুইটি মডেল মসজিদের কাজ দ্রুত বাস্তাবায়ন করা।
পরিবেশ: বিশ্বের পরিচ্ছন্ন দূষণমুক্ত শাস্তির নগরী হিসেবে খ্যাত শিক্ষানগরী রাজশাহীর গৌরব পূনরুদ্ধার করা। বৃক্ষ শোভিত রাস্তার ডিভাইডার স্থাপন অব্যাহত রাখা। নগরীর খাস পুুকুরসমূহ উদ্ধার, উন্নয়ন ও সংরক্ষণ করা। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে পুকুর/দীঘি/জলাশয় সংরক্ষণ করা। গ্রীণ সিটি খ্যাত রাজশাহী নগরীর ব্যাপক বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অব্যহত রাখা। প্রতিটি সরকারি ভবন চত্বরে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নানা প্রকার ফলজ, বনজ ও ঐষধি বৃক্ষ রোপন করা। নগরীতে অধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও রিসাইকেল প্ল্যান্ট স্থাপন করা।
যোগাযোগ: রাজশাহী- ঢাকা রুটে বিরতিহীন ট্রেন সার্ভিস চালু করা। রাজশষাহী কোলকাতা ট্রেন সার্ভিস চালু করা। রাজশাহী বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে উন্নীত করা এবং এতদাঞ্চলে উৎপাদিত পণ্য রফতানির লক্ষে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপনে উদ্যোগে গ্রহণ করা। রাজশাহীর প্রাণ পদ্মা নদীকে ক্যাপিটাল ও ড্রেজিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা। প্রতিটি আন্তনগর ট্রেনে রাজশাহী থেকে কৃষিজাত পণ্য পরিবহনের জন্য লাগেজ ভ্যান যুক্ত করা। দেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলা ও নগরের সঙ্গে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সুগম করার জন্য সংযোগকারী মহাসড়কগুলোকে চার লেনে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা।
ক্রীড়া সংস্কৃতি ও নাগরিক কেন্দ্র: রাজশাহী নগরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেট ভেন্যু বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা। খেলাধুলার উন্নয়নের জন্য প্রস্তাবিত বিকেএসপি দ্রুত বাস্তবায়ন করা। নগরীর স্টেডিয়ামগুলো আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উপযোগী করে গড়ে তোলা। মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সেকে স্টেডিয়ামসহ পূর্ণাঙ্গ ক্রীড়া কমপ্লেক্স হিসেবে বাস্তবায়ন করা। নগরীতে একাধিক জিমনেসিয়াম ও ইনডোর ক্রীড়া কমপ্লেক্স স্থাপন করা। নগরীর খেলার মাঠগুলোকে সারাবছর খেলাধূলার উপযোগী করে রাখাসহ খেলামূলার বিভিন্ন টুর্নামেন্ট চালু করা। নির্মাণাধীন সাধারণ গ্রন্থাগার কমপ্লেক্স দ্রুত বাস্তবায়ন করে গ্রহাগারটি চালু করা। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে বহুমুখী সুবিধাসম্পন্ন নাগরিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে যেখানে অডিটোরিয়াম, কমিউনিটি সেন্টার ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্থায়ী কার্যালয় থাকবে।
নারী উন্নয়ন: আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে নারী উদ্যোক্তাদের আইটি ভিত্তিক উদ্যোগ কুটির শিল্প ও হস্তশিল্প স্থাপন এবং প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সহায়তা প্রদান করা। নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ের জন্য পৃথক মার্কেট স্থাপন করা। নারী প্রতি সহিংসতা রোধকল্পে ওয়ার্ড ভিত্তিক সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করে সর্বত্র মা-বোনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
প্রবীণ নাগরিক: নগরীর হাসপতালসহ সরকারি বেসরকারি সকল দফতরে প্রবীণদের জন্য বিশেষ হেল্প ডেক্স স্থাপন করা। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের তত্বাবধানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত প্রবীন নিবাস স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
প্রতিবন্ধী উন্নয়ন: প্রতিটি শিক্ষাকেন্দ্রে জাতীয় নীতি অনুযায়ী প্রতিবন্ধী বান্ধব পরিবেশ ও অবকাঠামো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হাসপতালে প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসার জন্য জাতীয় নীতি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করা।
মুক্তিযুদ্ধ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ: রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও পার্শ্ববর্তী এলাকার গণকবরসূমহ চিহ্নিত করে স্মৃতিফরক স্থাপন ও সংরক্ষণ। ইতিহাস ও ঐহিত্য সংরক্ষণ মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক এবং বিশিষ্ট নাগরিকদের নাম রাস্তাঘাট, মোড় ও স্থাপনার নমকরণ করা হবে। রাজশাহী কলেজ চত্বরে ৫২’র ভাষা আন্দোলনে নির্মিত দেশের প্রথম শহীদ মিনারটিকে একটি কমপ্লেক্স আকারে গড়ে তোলা জন্য গৃহীত প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করা। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দর চত্বর ও সড়কপথ রাজশাহী মহানগরীর প্রতিটি প্রবেশমূখে বরেন্দ্র অঞ্চলের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের স্মরক স্থাপনে কার্যক্রম গ্রহণ করা।
রাজশাহী সিটির ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সিটি মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করা। ঐতিহাসিক স্থাপনা রাজশাহীর বড়কুঠির ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে সংস্কার করে সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
স্বনির্ভর সিটি করপোরেশন: নিজস্ব আয়ের উৎস সৃষ্টি করে বর্তমানে প্রায় শতকোটি টাকা ঋণগ্রস্থ সিটি করপোরেশনকে স্বানির্ভর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।
অন্যান্য: মহানগরীর সম্মানিত ইমাম, পুরোহিত ও যাজকদের উৎসব ভাতা পুনরায় চালু করা। রাজশাহীর শহররক্ষা বাঁধ এবং বাঁধের উপরস্থ ওয়াকওয়ে মেরামত ও সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা। রাজশাহী মহানগরীর ক্লিনসিটি ইমেজ পুনরুদ্ধার এবং শহরের ছাত্রছাত্রী ও তরুনদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রতিটি ওয়র্ডে তরুণদেরকে সংশ্লিষ্ট করে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতার অভিযান পরিচালনা করা। পাড়ায় মহল্লায় মাদক বিরোধী সরকারি অভিযানের পাশাপাশি ওয়ার্ড ভিত্তিক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সভা, সমাবেশ ও শিক্ষামূলক নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানাদির আয়োজন করা। মাদকাসক্তি নির্মূলে কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্যক্রম গ্রহণ করা। মহানগরীর নাগরিক বৃন্দের মধ্যে সৃজনশীলতা, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মানবতাবাদী কার্যকলাপকে উৎসাহিত করার জন্য সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক সংবধৃনা ও পদক চালু করা। মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কৃত করার মাধ্যমে উৎসাহিত করা। মেয়রের দপ্তর নগরবাসীর জন্য সর্বদা উন্মুক্ত রাখা। সর্বোপরি নগরভবনকে রাজশাহী মহানগরীর প্রাণকেন্দ্ররূপে প্রতিষ্ঠা করা।
এসময় মেয়র প্রার্থী লিটন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ভাষাসৈনিক মোশাররফ হোসেন আখুঞ্জি, আবুল হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি সাইদুর রহমান খান ও আবদুল খালেক, রাবি শিক্ষক সাব্বির সাত্তার তপু, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ।