৫৫ মিনিটে পেপের গোলে সমতায় ফেরার আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হলো না পর্তুগালের। ম্যাচের ৬২ মিনিটে এদিনসন কাভানির দ্বিতীয় গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল উরুগুয়ে। এবারের গোল অবশ্য হেড থেকে নয়, করলেন ডান পায়ের অসাধারণ শট থেকে।
জমে উঠেছে উরুগুয়ে-পর্তুগাল লড়াই। অ্যাটাক-কাউন্টার অ্যাটাকে এগিয়ে চলছে খেলা। তমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে এ মুহূর্তে ২-১ গোলে এগিয়ে উরুগুইয়ানরা। শেষে ওই ব্যবধানেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে উরুগুয়ে। ফলে মেসিদের পরেই দ্বিতীয় দল হিসেবে রাুউন্ড আব সিক্সটিন থেকে বিদায় নিল আরেক বিশ্ব তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দল পর্তুগাল।
জিতলে কোয়ার্টার ফাইনালে, হারলে কপাল পুড়বে। তল্পিতল্পা গুছিয়ে ফিরতে হবে দেশে। এমন সমীকরণের ম্যাচে সোচির ফিশট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল।
সূচনাটা দারুণ করে উরুগুয়ে। শুরুতেই একাধিক আক্রমণ দাগায় দলটি। ফলও আসে হাতেনাতে। ৭ মিনিটের মাথায় সাফল্য পেয়ে যায় উরুগুইয়ানরা। দুর্দান্ত হেডে পর্তুগালের জালে বল জড়ান এডিনসন কাভানি। তিনি গোল করলেও এর রূপকার ছিলেন লুইস সুয়ারেজ।
ব্যাকফুটে চলে গিয়ে খেলায় গতি আনে পর্তুগাল। মুহুমুর্হু আক্রমণে উরুগুয়ে শিবিরে আতঙ্ক ছড়ায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা। তবে শক্ত হাতে তাদের সব প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে উরুগুইয়ান রক্ষণসেনারা। ফলে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় পর্তুগিজদের।
বিরতি থেকে ফিরেও আক্রমণের গতি সচল রাখে পর্তুগাল। ফলে সমতায় ফিরতেও বেগ পেতে হয়নি। ৫৫ মিনিটে সফল্য লক্ষ্যভেদ করেন পেপে। তবে এ গোলের কারিগর ছিলেন রাফায়েল গ্যারাইরো। এতে খেলায় ফেরে পর্তুগিজরা।
তবে পর্তুগালের আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৬২ মিনিটে ঠিকানায় বল পাঠিয়ে তাদের উল্লাস মাটি করে দেন সেই কাভানি।
দিনের প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে ৪-৩ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে আর্জেন্টিনা। সঙ্গে সঙ্গে লিওনেল মেসিদের বিশ্বকাপ স্বপ্নের সলিলসমাধি ঘটেছে। রাত পোহালেই বিমান ধরতে হচ্ছে বাড়ির।