নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাববগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফতেপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় থেকে বৈধ পথে গরু-মহিষ আসা শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত বিটে সরকারি বিধি-বিধান মোতাবেক গরু-মহিষ আসছে।
বিটের মালিক কেনাল আলী জানান, চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরর মন্ত্রীর একান্ত সচিব ডা. হারুন অর রশিদ বিশ্বাসের স্বাক্ষরিত ০.২৮.১২৮.০০০০.১৬৭-২৩ পত্রে জানা যায়, সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশন নম্বর ১৫৩৮৪/২০১৭ গত ০৬-১১-১৭ তারিখে আদেশ মোতাবেক চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর বিওপি-০৯ এর অধীনে সীমান্ত এলাকায় দৈনিক ভারত থেকে যত গবাদী পশু আসবে তত গবাদী পশু এর কাস্টমস এক্সাইজ ভ্যাট পরিশোধের নিমিত্তে শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর গ্রামের এনামুল হকের ছেলে কেনাল আলীকে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশন নম্বর ১৫৩৮৪/২০১৭ গত ০৬-১১-১৭ তারিখে আদেশ মোতাবেক ফতেপুর বিওপির অধীন সীমান্ত এলাকায় গবাদী পশু বিট/খাটাল স্থাপন পরিচালনা ও অনুমোদনের নিমিত্তে গবাদী পশু খাটাল স্থাপন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই নির্দেশ প্রদানের ছায়ালিপি মহাপরিচালক, বর্ডার গাড বাংলাদেশ সদর দপ্তর, পিলখানা, ঢাকা।
বিভাগীয় কমিশনার রাজশাহী, সেক্টর কমান্ডার, বিজিবি রাজশাহী। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার চাঁপাইনবাবগঞ্জকে প্রেরণ করা হয়। অনুমতি পত্র পাওয়ার পর ২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্ত শাখা-২ এর প্রজ্ঞাপন নীতিমালা অনুসারে বিট বা খাটাল পরিচালনা হয়ে আসছে। মাঝে মধ্যে কতিপয় দুস্কৃতিকারীরা খাটাল পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আসছে।
বর্তমানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের ফলে বিটে শান্তিপূর্ণভাবে কার্যক্রম চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে বিটের মালিক কেনাল আলী জানান, এই বিটে কোন ধরণের চাঁদাবাজী হয়না। ইতোপূর্বে যারা বিট পরিচালনা করতো তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও চাঁদাবাজীর অভিযোগ ছিল। ওই সংঘবদ্ধ দলটি আবারও মাঝে মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। অথচ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় বর্তমানে বিট/খাটালের কার্যক্রম চলছে।
এ প্রসঙ্গে কতিপয় গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, বিট বা খাটালেরর কোন ধরণের চাঁদাবাজী হয়না। তবে বিটের দায়িত্বরত রাখালদের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ভারত থেকে গরু আসার ক্ষেত্রে আগের চেয়ে কিছু খরচ বেড়েছে। কিন্তু এসব খরচ ব্যবসায়ীরা নিজেই সমাধান করে থাকেন।