আভা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সেরা সুন্দরী নির্বাচনের আয়োজন, মিস আমেরিকা প্রতিযোগিতায় এখন থেকে আর বিকিনি পড়া কোন পর্ব থাকবে না। বিচারকদের সামনে বিকিনি পড়ে আর প্রতিযোগীদের আসতে হবে না।
সান্ধ্যকালীন পোশাকের পর্বে প্রতিযোগীদের এমন পোশাক পড়ে আসতে বলা হবে, যা পড়ে তারা স্বাচ্ছন্য বোধ করেন এবং তাদের নিজস্ব ধরণ প্রকাশ পায়।
এবিসি টিভির গুডমর্নিং আমেরিকা অনুষ্ঠানে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন এই আয়োজনের সাবেক বিজয়ী গ্রেচেন কারসন।
” আমরা এখন থেকে আর প্রতিযোগীদের শরীর দেখে তাদের বিচার করবো না। এটা একটি বিরাট অর্জন,” তিনি বলছেন।
”আমরা আর কোন প্রদর্শনী নই, বরং এটা একটি প্রতিযোগিতা,” বলছেন সাবেক এই মিস আমেরিকা, যিনি মিস আমেরিকা অর্গানাইজেশনের ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সাঁতারের পোশাক পর্বের পরিবর্তে এ সময় প্রতিযোগীদের একটি সাক্ষাৎকার পর্ব হবে। যেখানে তাদের ভালোলাগা, বুদ্ধিমত্তা আর মিস আমেরিকা হিসাবে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে।
মিস আমেরিকা অর্গানাইজেশনের ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন গ্রেচেন কারসন
তিনি বলছেন, ”কে নিজেকে তুলে ধরতে না চায় বা নেতৃত্বের গুণাবলী শিখতে চায় অথবা কলেজের ফি দিতে চায়? সারা বিশ্বের কাছে কে নিজের ভেতরের গুণাবলী তুলে ধরতে না চায়? এখন থেকে আমরা এসবের ভিত্তিতেই তাদের বিচার করবো।”
মিস আমেরিকার সাবেক নির্বাহী পরিচালক স্যাম হ্যাসকেল, প্রেসিডেন্ট জোশ র্যান্ডেল আর অন্য বোর্ড সদস্যরা অশ্লীল ইমেইল কেলেঙ্কারির জের ধরে গত বছর পদত্যাগ করেছেন।
সেসব ইমেইলে এই কর্মকর্তারা সাবেক বিজয়ীদের চেহারা, বুদ্ধি আর যৌন জীবন নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন, যা হাফিংটন পোস্টে প্রকাশিত হয়।
এরপরেই সব নারী প্রধান দলের মিস আমেরিকা সংস্থায় যুক্ত হন মিজ কারসন। ১৯৮৯ সালে তিনি মিস আমেরিকা হয়েছিলেন।
২০১৯ সালের মিস আমেরিকা প্রতিযোগিতা মার্কিন টেলিভিশন এবিসি টেলিভিশনে সরাসরি প্রচারিত হবে ৯ই সেপ্টেম্বর থেকে। বিবিসি বাংলাউ