যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের পুলিশ প্রধানদের দ্বিতীয় সম্মেলনে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেছেন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশ প্রতিশ্র“তিবদ্ধ।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যৌন হয়রানি ও অসদাচরণ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশ পরিমার্জিত ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
জাতিসংঘ সদর দফতরে বুধবার জাতিসংঘের পুলিশ প্রধানদের দ্বিতীয় সম্মেলন শুরু হয়। শেষ হয় বৃহস্পতিবার। ১৯৩টি সদস্য দেশের পুলিশ বাহিনী প্রধানদের এ সম্মেলনে অংশ নেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
শুক্রবার পুলিশ সদর দফতর থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আইজিপি ১৯ জুন জাতিসংঘ সদর দফতরে ডিপার্টমেন্ট অব পিস কিপিং অপারেশনের (ডিপিকেও) প্রধান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রুয়া এবং জাতিসংঘের পুলিশ অ্যাডভাইজর লুইস ক্যারিলহোর সঙ্গে বৈঠক করেন।
সভায় জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন এই দুই কর্মকর্তা শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যদের গঠনমূলক ও সৃজনশীল ভূমিকা এবং অব্যাহত অবদানের প্রশংসা করেন। এ সময় বাংলাদেশ মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম, ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ ও মিশনের মিনিস্টার ফাইয়াজ মুর্শেদ কাজী উপস্থিত ছিলেন।
ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ২০ জুন সকালে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের পুলিশ কমিশনার জেমস্ ও নেইল এবং গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান টমাস পি গ্যালাটির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে কাউন্টার টেরোরিজম ও সাইবার ক্রাইমের মতো ট্রান্সন্যাশনাল অপরাধ দমনে দ্রুত সাড়া দানের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা ও তথ্য বিনিময়ের বিষয়গুলো প্রাধান্য পায়।
এছাড়া আইজিপি জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ও মিশনের কর্মকর্তাবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
যুগান্তর