মুন্সিগঞ্জে প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চু হত্যার প্রধান আসামি জেএমবি সদস্য আবদুর রহমান (৩২) পুলিশের সঙ্গে ‘গুলিবিনিময়কালে’ নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) ভোরে জেলার সিরাজদিখান উপজেলার খাসমহল বালুরচর এলাকায় এই ‘গুলিবিনিময়’ হয়।
১১ জুন বাচ্চুকে গুলি করে হত্যার ১৩ দিনের মাথায় ২৪ জুন গাজীপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে আবদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।
মুন্সিগঞ্জ জেলা ইন্টালিজেন্ট অফিসার (ডিআইও-১) নজরুল ইসলাম জানান, প্রকাশক বাচ্চু হত্যাকাণ্ডে জেএমবি সদস্য আবদুর রহমান সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। ভোরে তার সহযোগী বাকি জেএমবি সদস্যদের গ্রেফতার করতে সিরাজদিখানের খাসমহল বালুরচরে একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালাতে থাকে সন্ত্রাসীরা। একপর্যায়ে আবদুর রহমান গুলিতে নিহত হন।
এসময় সিরাজদিখান থানার তিন পুলিশ সদস্য সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) দেলোয়ার, হাসান এবং কনস্টেবল মোশারফ আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেনেডসহ আগ্নেয়াস্ত্র ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান নজরুল।
তিনি আরও জানান, শাহজাহান বাচ্চুকে হত্যার জন্য দুই মাস আগে আবদুর রহমান ও তার সহযোগীরা বাসাটি ভাড়া নেন। সকাল ৯টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
গত ১১ জুন ইফতারের আগ মুহূর্তে মধ্যপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব কাকালদি তিন রাস্তার মোড়ে গুলি করে হত্যা করা হয় প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চুকে। তিনি বিশাকা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ও মুন্সিগঞ্জ জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দায়িত্ব পালন করেছিলেন ‘আমাদের বিক্রমপুর’ নামের একটি অনিয়মিত সাপ্তাহিক পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবেও।
বাংলানিউজ