পুলিশ ক্যাডার থেকে ওসি নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে দুদক চেয়ারম্যান

আভা ডেস্কঃ থানায় পুলিশ ক্যাডার থেকে ওসি নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। উপজেলা পর্যায়ের অধিকাংশ দপ্তরেই বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন। এর প্রেক্ষাপটে এই সুপারিশ করেছে দুদক।

দুদকের সুপারিশে মন্তব্য করা হয়, থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্ব পালন করেন পুলিশের পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তারা। ফলে সাধারণ মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা পায় না।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করা হয়। দুদকের পক্ষ থেকে প্রতিবেদনটি রোববার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

প্রতিবেদন উপলক্ষ্যে সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মতবিনিময় করেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।  তিনি বলেন, আমলাতন্ত্রের সংস্কার না হলে দুর্নীতি কমবে না। এ সময় তিনি সিভিল সার্ভিস সংস্কার কমিশন গঠনের পরামর্শ দেন। এছাড়া সরকারি ২৮টি সংস্থায় গবেষণা করে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশমালা জমা দেয়া হয় বলেও তিনি জানান।

স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনের যাত্রা ২০০৪ সালে। এরপর থেকে প্রতি বছরই রাষ্ট্রপতির কাছে বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দেয় দুদক।

২০১৯ সালে বার্ষিক প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান বলছে, বিচারিক আদালতে ৬৩ ভাগ মামলায় সাজা হয়েছে; যা ২০১৮ সালের মতোই। তবে ২০১৯ সালে বেড়েছে মামলা দায়েরের সংখ্যা। বার্ষিক প্রতিবেদন ও দুদক বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব তথ্য তুলে ধরেন কমিশনের চেয়ারম্যান।

মতবিনিময় সভায় ২০১৯ সালে কমিশন কার্যক্রমের বিস্তারিত পরিসংখ্যান তুলে ধরে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। তার নির্দেশনা অনুসারেই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। বিগত বছরগুলোতে মিডিয়া, সুশীল সমাজ, সমালোচকদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা পেয়েছি।

তিনি বলেন, কমিশনে যোগ দিয়েই বলেছিলাম কমিশন সমালোচনাকে স্বাগত জানাবে। কারণ সমালোচনার মাধ্যমে কর্মপ্রক্রিয়ার ভুল-ত্রুটি উদঘাটিত হয়, যা সংশোধনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে পরিশুদ্ধ করা যায়। এখন বলতে পারি কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই কমিশনে অভিযোগের সংখ্যা বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, গত বছর থেকে ২০১৯ সালে মামলা এবং চার্জশিটের পরিমাণ কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পেয়েছে। মামলা এবং চার্জশিটের গুণগতমান নিশ্চিত করার কারণেই কমিশনের মামলায় সাজার হার ৬৩ শতাংশে উন্নীত। ভবিষ্যতে কমিশনের মামলায় সাজার হার হবে শতভাগ। ইতোমধ্যে জেনেছি, ২০২০ সালে কমিশনের মামলায় সাজার হার ৭৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সুত্রঃ যুগান্তর

Next Post

রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশ পরিবারের ৬২ কৃতি শিক্ষার্থী পেল পুলিশ মেধাবৃত্তি

সোম ফেব্রু. ৮ , ২০২১
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশ পরিবারের ৬২ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তি-২০১৯’ প্রদান করা হয়েছে।বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান মাননীয় আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) এর পক্ষ থেকে সোমবার(৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজশাহীর আরআরএফ হলে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় রাজশাহী রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) জনাব মোঃ আব্দুল […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links