নাটোর প্রতিনিধিঃ নাটোরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়কারী চক্রের নারী সদস্যসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, শরিফা আক্তার সাথী, নাটোর সদর থানার ফুলস্বর গ্রামের আবুল হোসেন, বিকাশ এজেন্ট ফারুক ও হোসেন আলী এবং সিএনজিচালক রাজশাহীর চারঘাট থানার শিবপুর গ্রামের ছেলে মো. নজু।
আজ বুধবার (২২ জুলাই) দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এ তথ্য জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের ও মীর আসাদুজ্জামান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম, গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনারুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গত ১৪ জুলাই ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী ইলেকট্রনিক ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের সাথে বাসে পরিচয় হয় প্রতারক চক্রের নারী সদস্য শরিফা আক্তার সাথীর। পরে যে যার গন্তব্যে চলে যায়। এরপর মোবাইল ফোনে মিজানুরের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন সাথী।
পরবর্তীতে সাথী মোবাইল ফোনে কথোপকথনের এক পর্যায়ে কৌশলে মিজানুরকে নাটোর সদর উপজেলার ফুলসর গ্রামের আবুল হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় সাথী জোর করে অসামাজিক কার্যক্রমের ছবি ধারণ করে মিজানুরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে। পরে প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যরা প্রাণনাশের হুমকি ও ধারণকৃত ছবি ফাঁস করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মিজানুর রহমানের কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা কেড়ে নেয় এবং বিকাশের মাধ্যমে আরো দুই লাখ টাকা আদায় করে। এরপর সিএনজি যোগে মিজানুর রহমানকে নাটোরের আহম্মেপুর এলাকায় নামিয়ে দেয় তারা।
এ ঘটনায় মিজানুর রহমান নাটোর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে। অভিযানকালে আবুল হোসেনের বাড়ি থেকে একটি সিএনজিসহ নগদ এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।