ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের গণভবনে ডেকেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় গণভবনে পদপ্রত্যাশী সব নেতার সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। গত ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিভিন্ন গুজব, আলাপ-আলোচনা হলেও নতুন কমিটি এখনো ঘোষণা করা হয়নি। এই বৈঠকের পরই কমিটি ঘোষণায় অগ্রগতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী ৩২৩ জনের বায়োডাটা বিভিন্ন মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের পর ডাকা হয় তাদের।
এরই মধ্যে পদপ্রত্যাশীদের সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, গণভবনে ডেকে কথা বলেই ঘোষণা করা হবে ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব। পদপ্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন। তাদের কথাও শুনবেন।
ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে কোনো ধরনের ‘সিন্ডিকেট’, কৃত্রিম প্রভাব কিংবা কোনো স্বজনপ্রীতি দেখতে চান না আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। কারণ সামনে নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনে ছাত্রলীগের ইতিবাচক ভূমিকা চান শেখ হাসিনা। এ জন্যই তিনি নিজেই এই সংগঠনের দায়িত্ব নিয়েছেন।
জানা গেছে, ছাত্রলীগে কারা নেতৃত্বে আসবেন, বিষয়টি অনেক আগেই আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্ধারণ করে রেখেছেন। কিছু আনুষ্ঠানিকতা এবং নতুন নেতা নির্বাচনে যাচাই-বাছাইয়ের কারণে এখনো কমিটি ঘোষণা করা হচ্ছে না। তবে আজকের বৈঠকের পর শিগগিরই আংশিক কমিটি ঘোষণা হতে পারে।
এর আগে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের গণভবনে ডাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন বর্তমান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন।
যুগান্তর