টাঙ্গাইলে গোপালপুরে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে পালাক্রমে গণধর্ষণের পর ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে এক ধর্ষক ও তার সহযোগিকে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, বাবা-মা’র বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ায় পর বিধবা নানীর কাছে থেকে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে ওই ছাত্রী লেখাপড়া করতো।
গত ১৬ এপ্রিল ওই ছাত্রী উত্তর পাথালিয়া গ্রামের পড়শি ফজলু মিয়ার বাড়ির ফ্রিজে রাখা দুধ আনতে যায়। ফজলু মিয়ার স্ত্রী জোছনা বেগমের যোগসাজশে একই গ্রামের হাসেন আলীর পুত্র মজনু (৩০) এবং শামসুল হকের পুত্র সোহাগ (১৫) ওই ছাত্রীকে কৌশলে ঘরে আটকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে।
এসময়ে তারা গণধর্ষনের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে রাখে। ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় ছাত্রীর দরিদ্র নানী ঘটনাটি ভয়ে চেপে যান। পরে গোপনে স্থানীয়ভাবে ওই ধর্ষিতাকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ধর্ষিতার মায়ের অভিযোগ, তাদের দারিদ্রতা ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ধর্ষকরা পুনরায় শিশুটিকে ধর্ষণের জন্য ভিডিও প্রকাশের হুমকি দিতে থাকে। এমতাবস্থায় শিশুটির স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পরে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ধর্ষিতা শিশুটিকে টাঙ্গাইল শহরের এক আত্মীয় বাড়িতে নিয়ে রাখা হয়।
গত ৯ জুন ধর্ষকরা ধর্ষিতার নানী বাড়ি গিয়ে দুই লাখ টাকা দাবি করে তার নানীর হাতে ধর্ষণের প্রমাণ হিসাবে একটি মোবাইলের মেমোরি কার্ড গছিয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার ধর্ষিতার মা লাভলী বেগম তিনজনকে আসামি করে গোপালপুর থানায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মজনু এবং সহযোগি জোছনা বেগমকে গ্রেফতার করে। অপর ধর্ষক সোহাগ পলাতক রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।