নিজস্ব প্রতিনিধি :রাজশাহী মহানগরীতে সড়ক দুর্ঘটনার হার বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ গাড়ির উচ্চগতিসীমা। ট্রাফিক আইন না মেনে গাড়ির গতি সীমা ৭০-৮০ কিলোমিটারের উপরে রাখার কারণে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা হয়ে থাকে। বাস, ট্রাক,কার ,সিএনজি ,ব্যাটারি চালিত অটো ও রিক্সা যেন গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ রেখে গাড়ি চালায় সেই লক্ষ্যে মাঠে নামেন আরএমপির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার ( ট্রাফিক) হেলেনা আকতার।
অদ্য ৫ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ( বুধবার ) সকাল ১১:৩০ ঘটিকায় রাজশাহী মহানগরীর আম চত্বর, গোরহাঙ্গা সিএনজি স্ট্যান্ড ,বাস টার্মিনাল, ভদ্রা বাসস্ট্যান্ড সহ রাজশাহীর বিভিন্ন বাসের কাউন্টারে স্বয়ং নিজে গিয়ে লিফলেট বিতরণ করেন হেলেনা আকতার অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার ( ট্রাফিক)। এ সময় হেলেনা আকতারের সাথে ছিলেন মোঃ মাহামুদুল নবী, পুলিশ পরিদর্শক টিআই (প্রশাসন) আরএমপি, মোঃ মোবারফ হোসেন ইন্সপেক্টর বিআরটিএ।
আরএমপির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) হেলেনা আকতার বলেন, রাস্তায় গাড়ির চালককে গাড়ির গতিসীমা মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে রাজশাহীর সমস্ত মেইন পয়েন্টে বাস,ট্রাক,কার , মাইক্রো,সিএনজি ,ব্যাটারি চালিত অটো রিস্কা ড্রাইভারদেরকে সচেতন করা হয়। সঠিকভাবে গাড়ির গতিসীমা রক্ষা করতে পারলে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রতিটি গাড়ির চালক যাতে ট্রাফিক আইন ও সিগন্যাল মেনে চলে সেজন্য তাদেরকে সচেতন করা হয় এবং তাদের বলা হয় অন্য চালকদের কেউ যেন তারা সচেতন করে। সবাই যদি গাড়ির গতিসীমা ঠিক রেখে ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালায় তবেই আমরা সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে পারব। আমার লক্ষ্য রাজশাহী মহানগরীকে যানজট মুক্ত ও সড়ক দুর্ঘটনা থেকে বাঁচিয়ে রাখা। এটা আমার একার দ্বারা সম্ভব নয় সেজন্যই প্রতিটি বাস চালক, ট্রাক চালক, সিএনজি চালক ,ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সার ড্রাইভারদের হাতে গতিশীমার নিয়ন্ত্রণের লিফলেট প্রদান করি যেন তারা সচেতন হয় এবং অন্যদেরও সচেতন করে ।