সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর সোমবার দু’দফা ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে খালি পায়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এসময় হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তির দাবি জানানো হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এ কর্ম সূচী পালন করা হয়।
সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথার সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর গতকাল সোমবার দফায় দফায় হামলা করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
হামলায় অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদেরও রেহাই দেয়নি। তাদের চড়-থাপ্পড় দেয়ার পাশাপাশি রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানো হয়েছে।
গত শনিবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূরসহ সাত শিক্ষার্থী আহত হন।
সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও (রাবি) কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগের অতর্কিত হামলায় চার শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
এর আগে রোববারও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হামলা চালায় ছাত্রলীগ।
এর আগে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় খালি পায়ে প্রতিবাদের ডাক দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ খান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন- ‘দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং লাঞ্ছনার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার নগ্নপদে অফিসে যাব। বেলা ১১টা-১২টা পর্যন্ত জোহা স্যারের মাজারে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করব।’
প্রতিবাদে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফরিদ খান লেখেন- ‘খালি হাতে, নগ্ন পায়ে এবং নীরবে যে কেউ যোগদান করতে পারেন। কোনো স্লোগান না, ফেস্টুন না, বক্তৃতা না- না কোনো রাজনীতি। এই নগ্ন পায়ে নীরব প্রতিবাদ বোঝাবে আমরা আর সভ্যসমাজের নাগরিক নই, যেখানে বাকস্বাধীনতা আছে, যেখানে ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদের সুযোগ আছে।’