আভা ডেস্কঃ অবৈধ সম্পদ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রীর এপিএস ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহমান শেখকে তলব করেছে দুদক।
পরিচালক কাজী শফিকুল আলমের বিশেষ অনুসন্ধান-তদন্ত শাখা-১ থেকে মঙ্গলবার তাকে এই নোটিশ দেয়া হয়। এতে স্বাক্ষর করেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সামসুল আলম।
বিদেশে প্রশিক্ষণের নামে অর্থ লোপাট এবং বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এপিএস ড. মোহাম্মদ আরিফুর রহমান শেখকে ২০ জানুয়ারি দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর পিএ আজিজ চৌধুরীকে ২১ জানুয়ারি তলব করা হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ দফতর এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ দিকে ক্যাসিনোকাণ্ডসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশহিসেবে চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বুধবার। এর আগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দেন দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান।
অপরদিকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেনকে ২০ জানুয়ারি দুদকে তলব করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ক্যাসিনোকাণ্ডে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেফতার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়। শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ পর্যন্ত ২০টি মামলা দায়ের করে দুদক।
দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবালের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি বিশেষ টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছেন। অপর সদস্যরা হলেন উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সালাহউদ্দিন আহমেদ, গুলশান আনোয়ার প্রধান, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আতাউর রহমান ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী।