নজরুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধি ঃ চিনের করোনা ভাইরাস নামক সংক্রামক ভাইরাস সনাক্তর জন্য বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন ও ভারতীয় ট্রাক চালকদের নাম মাত্র স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করলেও ভারত থেকে আসা বন্ধন এক্সপ্রেস নামক ট্রেনটিতে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। বিশ্বব্যাপি এ ভাইরাসটি আলোচনায় আসলে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে প্রথমে একজন স্বাস্থ্য উপ-সহকারি তার কয়েকজন অদক্ষ জনবল নিয়ে কাজ শুরু করেন। এরপর শুধু পাসপোর্ট যাত্রীদের পরীক্ষা নিরিক্ষা করলে ও অন্য সব বিদেশীরা এ পথে ভারত থেকে পাসপোর্ট বাদে দেশে প্রবেশ করছে এ রকম সংবাদে বেনাপোল স্থল বন্দর নড়ে চড়ে বসে। তবে তাদের কোন চিকিৎসক না থাকায় ওই ইমিগ্রেশন এর একই ডাক্তার দিয়ে গত ৪ তারিখে ট্রাক চালকদের পরীক্ষা নিরিক্ষার কাজ এর উদ্বোধন করেন বন্দরের উপ-পরিচালক মোঃ মামুন কবির তালুকদার। যারা ভারত থেকে ট্রাক নিয়ে দেশে আমদানি পন্য নিয়ে প্রবেশ করছে তাদের সনাক্তর জন্য রয়েছে অদক্ষ লোক। তাদের চিকিৎসা সেবায় কোন প্রশিক্ষন নাই। প্রতিদিন এ পথে কমপক্ষে ৩ শত আদমানি বাহী ট্রাক ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সেখানে প্রতি গাড়িতে দুই তিনজন লোক থাকে। তাদের সঠিক ভাবে পরীক্ষা নিরিক্ষা নিয়ে ও চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। করোনা একটি সংক্রামক ভাইরাস। সেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় বেনাপোল চেকপোষ্টে কোন রেজিষ্ট্রাড ডাক্তার না দিয়ে প্রশিক্ষন বিহীন লোক দিয়ে চালাচ্ছে কাজ। এ দিকে ভারত থেকে প্রতি সপ্তাহে বন্ধন এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন বাংলাদেশে প্রবেশ করে যাত্রী নিয়ে। সরাসরি এই ট্রেনটি ভারতের চিৎপুর থেকে ছেড়ে এসে খুলনায় যায়। যাত্রী সংখ্যা ও নিহাত কম থাকে না। আর ওই ট্রেনের সকল স্টাফ ও ভারতীয় নাগরিক। বেনাপোল রেল ষ্টেশনে সরাসরি যেয়ে দেখা যায় সেখানে কোন স্বাস্থ্য কর্মী নাই। ভারত থেকে যে সব যাত্রী আসছে তারা তাদের কাস্টমস ইমিগ্রেশন এর আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে সরাসরি চলে যাচ্ছে ট্রেনে। স্থানীয় ডাক্তার আব্দুল বারী বলেন, বেনাপোল রেল ষ্টেশনে একজন ডাক্তারের প্রয়োজন এই ভাইরাস সনাক্তর জন্য। এ পথে ভারতীয় বন্ধন ট্রেন ছাড়া ও আসে পন্যবাহী ট্রেন। সেখানেও থাকে ভারতীয় লোকজন। তাদের কোন রকম পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই চলে যাচ্ছে দেশের অভ্যান্তরে। এদের দ্বারা সংক্রামক ভাইরাস ছড়াতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। অপরদিকে ভারত বাংলাদেশের লিংক রোডে যে সব পন্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করছে এবং বাংলাদেশ থেকে যে সব পন্যবাহি ট্রাক ভারতে প্রবেশ করছে তারা ফেরত আসলেও তাদের পরীক্ষার জন্য নেই কোন ব্যবস্থা। এরকম অব্যবস্থাপনার ভিতর দিয়ে পার হচ্ছে বাংলাদেশের বৃহৎ স্থল বন্দর বেনাপোলে ভাইরাস সনাক্তের কাজ। সচেতন মহল দ্রুত স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে ।