আভা ডেস্ক: ‘আমি যে ধরণের ছেলে পছন্দ করি জিৎ একেবারেই সে রকম। তাছাড়া আমার মাও জিৎকে খুব পছন্দ করে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, জিৎ বিয়ে করে ফেলেছে। সে বিয়ে না করলে আমিই তাকে বিয়ে করতাম।’
ভারতীয় একটি মিডিয়াকে দেয়া স্বাক্ষাৎকারে এভাবেই নিজের কথা জানালেন ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। এ ঈদে ভারতে মুক্তি পাচ্ছে এ নায়িকার ছবি ‘সুলতান-দা সেভিয়র’। ছবিতে মিমের নায়ক ওপার বাংলার জিৎ। কলকাতায় এটি মিমের তিন নম্বর ছবি। বর্তমানে রাজা চন্দ পরিচালিত এ ছবিটির প্রচারণা দিয়ে ব্যস্ত তিনি।
সেখানেই মিডিয়াকে দেওয়া এক স্বাক্ষাৎকার মিম বলেন, ‘জিৎ বারবার আমাকে জিজ্ঞেস করতেন, আমি কারও সঙ্গে প্রেম করি কি না। যত বার বলি আমার বয়ফ্রেন্ড নেই, বিশ্বাস করতেই চায় না। তার সঙ্গে আমার প্রথশ পরিচয় বাংলাদেশে। ছবির শুটিং করতে জিৎ গিয়েছিলেন। স্রেফ ওঁকে দেখব বলে শুটিং স্পটে গিয়েছিলাম।’
মিম বলেন, ‘কলকাতাকে চিনি শৈশব থেকে। আমার কাছে কলকাতা মানে ঘুরে বেড়ানো, শপিং করা আর সিনেমা দেখার জায়গা। আগে যেতাম নিউ মার্কেট, এখন যাই কোয়েস্টে। আর কলকাতা আমাকে কতটা চেনে? আজই শপিং করতে গিয়ে বুঝলাম আমাকে অনেকেই চিনতে পেরেছেন। ভাল লাগল। ‘ব্ল্যাক’, ‘ইয়েতি অভিযান’, ‘সুলতান’…তিনটে ছবি তো করে ফেললাম।’
‘সুলতান’ ছবিতে নিজের চরিত্র নিয়ে মিম বলেন, ‘ধনী পরিবারের জেদি মেয়ের চরিত্র করেছি আমি। পেশায় আইনজীবী। সুলতানের (জিৎ) প্রেমে পড়ি। সুলতান আমার প্রেমে না পড়ায় আমার জেদ চড়চড় করে বাড়ে। না… আর বলব না।’
মিম বলেন, ‘তবে শুটিংয়ে, আউটডোরে মাকে সঙ্গে নিয়ে যাই। মা না থাকলে খুব বোরড লাগে। বাবা ফাঁকা থাকলে, বাবাকেও নিয়ে যাই। আমার ভাল নাম বিদ্যা, ডাক নাম মিম। মায়ের নাম চিত্রা সিনহা সাহা। মায়ের জন্মের পর সেই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী চিত্রা সিনহার নামে নাম রাখা হয়। মামার বাড়ির পদবী কিন্তু সাহা। মায়ের সঙ্গে মিলিয়ে রাখার জন্য আমি ও বোন সিনহা ব্যবহার করি। ছবি করতে এসে লম্বা নাম ছেঁটে মিম হয়ে গেলাম। এখন অফিশিয়ালি ‘সাহা’ বাদ দিয়েছি। শুধু বিদ্যা সিনহা। সবাই ভাবে সিনহা আমার পদবী!’
দুই বাংলায় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে তুলনা করতে গিয়ে মিম বলেন, ‘ক্যামেরার কাজ, স্ক্রিপ্ট, পরিচালনায় অমিল নেই। কিন্তু পরিকাঠামো কিছুটা আলাদা। যেমন এখানে ছ’টায় কল টাইম হলে, শুটিং শুরু হয় ছ’টাতেই। কিন্তু বাংলাদেশে সেটা সাতটা-আটটা হয়েই যায়। এখানে আউটডোরে কাজের সময় ভ্যান পাই। ওখানে সে ব্যবস্থা নেই। সেই সময় নিজের গাড়িই ভরসা।’
অবসরে কী করেন- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে মিম বলেন, ‘হয় ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ি নয়তো চুটিয়ে সিনেমা দেখি। আর অল্পস্বল্প লিখি। দুটো বইও প্রকাশিত হয়েছে, ‘শ্রাবণের বৃষ্টিতে ভিজে’ (ছোট গল্পের সংকলন) আর ‘পূর্ণতা’(উপন্যাস)।’