নিজস্ব প্রতিবেদক,
গতবারের মতো এবারো আমরা দিতে চাই শাড়ী,লুঙ্গি,সেমাই-চিনি। আপনার সহযোগীতা আমাদের কাম্য । আপনাদের সাহায্যে আমরা শত অসহায়ের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলতে পারি ঈদের দিনে। ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে বার্তাটা এসেছিল এভাবেই । বার্তা পাঠানোর পর থেকেই কাজ শুরু হয়ে গেল। এরপর ধীরে ধীরে হাসি ফোটানোর গল্পগুলো শোনার পালা।
“টুকরো হাসি”। স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠনটি কেবল অসহায় ও দরিদ্রদের পাশে থাকার চেষ্টা করে। সমাজে যারা কম করতে একেবারে অক্ষম তাদের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করে থাকে। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি সাজিয়া সুলতানা মীম। যার প্রচেষ্টা সমাজের অবহেলিত, অসহায় মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটানো। সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের সহযোগীতায় প্রতিনিয়ত দরিদ্র ও পথ শিশুদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। এই রমজানে এমনই এশটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হাতে নিয়েছে টুকরো হাসি পরিবার।
ফেসবুকের বন্ধুদের ম্যাসেঞ্জারের বার্তার উত্তর পেয়ে আর আর্থিক সাহায্য পেয়ে শুরু হয় টুকরো হাসি পরিবারের ঈদ উপহার কেনার পালা। ২০ রমজানের দিকে শুরু হয় তাদের বিতরণ কার্যক্রম। তবে রাজশাহীর গন্ডি পেরিয়ে এবার বগুড়ার দুইটি গ্রামে গিয়ে ঈদের নতুন উপহার পৌছে দিয়েছে টুকরো হাসি পরিবার। বগুড়ার শুকনাপুকুর ও সোনাকানিয়া গ্রামের অর্ধশতাধিক দরিদ্র মানুষের মাঝে শাড়ী,লুঙ্গি, মেয়েদের থ্রি পিস বিতরণ করেন তারা। এছাড়াও বাচ্চাদের জন্য নতুন পোশাক বিতরণ করেন তারা।
কথা হলে সাজিয়া সুলতানা মীম প্রতিবেদককে বলেন, গতবছরও ঈদে পথ শিশুদের নতুন জামা কিনে দিয়েছিলাম আমরা। এবার চিন্তাটা একটু প্রসারিত করে অসহায়দের মানুষদের ঈদ উপহার হিসেবে নতুন জামা বিতরণের চিন্তা করি। মোটামুটি ২৬ হাজার টাকা কালেকশনের পর আমরা উপহার সামগ্রী কিনতে থাকি। সহকর্মীদের সহযোগীতায় আর অনেক শুভাকাঙ্খিদের সাহায্যে প্রায় ৫৫টি শাড়ী, ১২ টি লুঙ্গি ও বাচ্চাদের পোশাক কিনে আসি। এরপর খবর পায় বগুড়ায় কিছু হতদরিদ্র মানুষের কথা। আমরা তাদের কাছে ছুটে গিয়ে ঈদ উপহার বিতরণ করে আসি। তাদের মুখের হাসি টাই আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে দাড়ায়।
বগুড়ার পর রাজশাহীতেও ভ্রাম্যমান ভাবে বেশ কিছু হতদরিদ্রদের পাশে দাড়িয়ে তাদের সামনে নতুন জামা নিয়ে হাজির হচ্ছে টুকরো হাসি। নগরীর পদ্মাপাড় ও সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টের বিভিন্ন হতদরিদ্র ও পথশিশুদের খুজে বের করে সাথে গিয়ে তাদের পোশাক তুলে দিচ্ছেন তারা।
সাজিয়া জানান , ঈদের দিনে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দুপুরের খাবার বিতরণ করবে টুকরো হাসি পরিবার। তাদের মতে অন্তত এশটি দিনের জন্য হলেও তারা ভাল খাবার খেতে পারবেন। এই খুশিটা মাপা যায়না, আর অনুভূতিটা প্রকাশ করা যায়না।