অর্থ পাচার হলে তবে কি করার, অর্থমন্ত্রী

ভোরের আভা ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা একেবারেই খারাপ মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা একেবারে খারাপ। এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য প্রতি বছর সরকারকে ঋণ হিসেবে অর্থ দিতে হয়। এটা আমাদের ফেইলিওর যে আমরা এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে বিশেষ নজর দিচ্ছি না। তবে একটা ভালো খবর হচ্ছে যে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান আর বাড়ছে না। কালো টাকা বিনিয়োগ করতে দেয়ার কোনো ইচ্ছে নেই-জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, যদি টাকা পাচার হয়ে যায় তবে কী করা।

সোমবার দুপুরে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাষ্ট (বিএসটি) আয়োজিত ‘স্বপ্ন পূরনের বাজেট: প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির রূপরেখা’শীর্ষক এক গোল টেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিএসটি’র চেয়ারম্যান ড.এ.কে. আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যান্যর মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড.মির্জ্জা মোঃ আজিজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড.মশিউর রহমান, পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড.কাজী খলীকুজ্জমান আহমাদ সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম, পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জায়েদী সাত্তার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অর্থ পাচার রোধে কোন ধরনের প্রশ্নছাড়া দেশে কালো টাকা বিনিয়োগের প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে বিনিয়োগের পরিবেশ খুব ভালো। সে কারনেই দেশে প্রথমবারের মতো সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। তবে কালো টাকা বিনিয়োগ করতে দেওয়ার বিষয়ে কোনো ইচ্ছে আমার নাই। যদি পাচার হয়ে যায় যাক কি করা। কালো টাকা সাদা করার বিষয়টি ফেইলিয়র। যতবার আমরা কালো টাকা সাদা করার ঘোষণা দিয়েছি প্রতিবারই ফেল করেছি। খুবই কম পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা সম্ভব হয়েছে।

বাজেট বাস্তবায়নের হার কমে যাওয়া ও রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়ন না হওয়াটা সরকারের জন্য ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করে অর্খমন্ত্রী বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের হার অনবরত কমছে। ৯৩ থেকে ৯৫ শতাংশ বাজেট বাস্তবায়ন এক সময় হত এখন সেটা ৮০ শতাংশে নেমে এসেছে। এটা বর্তমান সরকারের জন্য খুব খারাপ সংবাদ।

তিনি বলেন, বাজেট বাস্তবায়ন যাতে সহজ হয় তার জন্য অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিন্তু তাতে তেমন কাজ হয়নি। উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত প্রকল্প পরিচালকদের তালিকায় প্রস্তুত করা হয়নি। সুরতাং এখন দেখতে হবে কোন এরিয়ায় কাজ করলে বাস্তবায়ন বাড়ে।

ব্যাংকিং খাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যাংক কেলেঙ্কারি খুব সিরিয়াস ব্যাপার। সর্বশেষ ২০০৪ সালে ব্যাংকিং কমিশন হয়েছিল। তারপর আর কিছু হয় নাই। এটা এখন খুব প্রয়োজন হয়ে গেছে। ব্যাংকিং সেক্টরে অনেক ধরনের গোলমাল রয়েছে। এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংকের পরিচালকের জন্য ঋণ অনুমোদন করে। এখানে কোনো নির্দেশনা উপযুক্তভাবে কাজ করে না।

মুহিত বলেন, আমার ধারনা ছিল যে এত বিরাট ব্যাংকিং সেক্টরটার জন্য কিছু ব্যাংকে একিভূত করে দেবো। কিন্তু সেটা হয় নাই। একিভূত করার বিষয়ে ব্যাংক আইন নিয়ে একটু ঝামেলা রয়েছে এটা সংশোধন করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের কৃষিখাতে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। সরকার কৃষিখাতের উন্নয়নে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। তবে কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক দাম পাচ্ছেন না। এ অভিযোগ অনেক দিনের। এ বিষয়ে সরকার সচেতন রয়েছে। কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্য সংরক্ষণের উন্নত ব্যবস্থার অভাবে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যেও ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে আশার বিষয় হচ্ছে সাম্প্রতিককালে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাল্টিপারপাস কোল্ড স্টোরেজ স্থাপিত হয়েছে। এ ধরনের কোল্ড স্টোরেজ আরো নির্মিত হলে কৃষক সেখানে তাদের উৎপাদিত পণ্যে রেখে ন্যায্য দাম পাওয়ার সুযোগ নিতে পারেন।

Next Post

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য স্বাভাবিক আছে, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি

সোম মে ২৮ , ২০১৮
ভোরের আভা ডেস্ক: পবিত্র রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকায় সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে সন্তোষ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও সতর্ক হতে বলা হয়েছে। এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে টিসিবিও তৎপর রয়েছে বলে জানানো হয়। সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links