আভা ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জে সেভেন মার্ডারের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নুর হোসেনের বিরুদ্ধে করা ১৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় অব্যাহতির আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ছয় মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
নুর হোসেন ১৯৯৯ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থাকার সময়ে ১১টি চেকের মাধ্যমে ১৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। এ ছাড়া মিথ্যা ও ভুয়া প্রকল্প বাস্তবায়নের নিমিত্তে কোনো কাজ না করে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।
বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম।
পরে আমিনউদ্দিন মানিক মামলার নথি থেকে বলেন, নুর হোসেন ১৯৯৯ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থাকার সময়ে ১১টি চেকের মাধ্যমে ১৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। এ ছাড়া মিথ্যা ও ভুয়া প্রকল্প বাস্তবায়নের নিমিত্তে কোনো কাজ না করে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।
এমন অভিযোগে তৎকালীন জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরো, নারায়ণগঞ্জের সহকারী পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক ২০০২ সালের ৩০ অক্টোবর সদর থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষ করে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আলী আকবর অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের বিশেষ জজ আদালত চার্জশুনানিতে তাকে অব্যাহতি দেন। তার অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর ফৌজদারি রিভিশন দায়ের করেন।
এ আবেদনের পর একই বছরের ৭ ডিসেম্বর আসামির অব্যাহতি আদেশ বাতিল করা হবে না, সেই মর্মে রুল জারি করেছিলেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুলটি যথাযথ বলে রায় দেন বলে জানান আমিন উদ্দিন মানিক। একই সঙ্গে মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
এর আগে হাইকোর্ট ১০ জুলাই নুর হোসেনের আরও একটি দুর্নীতি মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ বাতিল করেছেন।
যুগান্তর