‘শেখ হাসিনা জাতিকে আর কত দেবেন’

আভা ডেস্কঃ বাংলাদেশের উন্নয়ন তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানতে চেয়েছেন, জাতিকে শেখ হাসিনা আর কত দেবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে শনিবার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যবর্তন দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, কর্ণফুলি ট্যানেল, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ আরও অনেক প্রকল্প হচ্ছে। আর কত দেবেন? একটা জাতিকে তিনি আর কি দেবেন?’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘১৯৭৫ এর পর থেকে এখন পর্যন্ত গত ৪৭ বছরে সবচেয়ে সৎ এবং সাহসী নেতা, দক্ষ প্রশাসক আর সফল কূটনৈতিক হলেন শেখ হাসিনা। ১৩ বছর আগের বাংলাদেশ আর বর্তমান বাংলাদেশ মিলিয়ে দেখেন। শেখ হাসিনা এই দেশে ছিলেন বলেই বাংলাদেশের চেহেরা পাল্টে গেছে।’

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর স্বপ্ন আজ সত্যে পরিণত হয়েছে। জুন মাসের চন্দ্রদিপ পূর্ণিমা রাতে পদ্মা সেতু থেকে দাঁড়িয়ে বাংলার মানুষ পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পাবে। আমরা আগামীকাল নেত্রীকে সামারি পাঠাবো। তিনি যে সময় নির্ধারণ করে দেবেন, আমরা সেসময় পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করব।’

বিএনপিকে উদ্দেশ করে কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালো থাকলে মির্জা ফখরুলের মন খারাপ হয়। পদ্মা সেতু হয়ে গেছে, কর্ণফুলি টানেলও হয়েই গেছে। মেট্রোরেল হয়ে যাচ্ছে। বিএনপির জ্বালা! এ এক মধুর জ্বালা।

‘শেখ হাসিনা সব করে ফেলল। আমরা কিছুই পারলাম না। নির্বাচন আসছে। কী দেখিয়ে ভোট চাইবেন? নেতাটা কে? পলাতক, দণ্ডিত তারেক রহমান? প্রধানমন্ত্রী কে হবে? দণ্ডিত ব্যক্তি?’

বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের সঙ্গে তুলনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, `যতদিন শেখ হাসিনা নেতৃত্বে থাকবে, ততদিন বাংলাদেশ- শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান কিংবা পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা নয়, বাংলাদেশকে তুলনা করা হবে আমেরিকা, ইউরোপের সঙ্গে।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক তার বক্তব্যে বিএনপির নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল অনেক বেশি কথা বলেন, যেগুলোর কোনো যুক্তি নেই।’

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রেক্ষাপট এবং তৎকালীন সময়ের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

পদ্মা সেতুর নামকরণ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পদ্মা সেতু কীভাবে নির্মিত হয়েছে সেটা আমরা জানি। এই সেতুর জন্য জননেতা ওবায়দুল কাদেরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’ নাম প্রস্তাব করেছেন।”

সামাদ বলেন, ‘আমি উসকানি দিতে চাই না, উৎসাহিত করছি। পদ্মা সেতু বঙ্গবন্ধু কন্যার নামে হওয়ার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগেরও দায়িত্ব আছে। আমি শুধু এইটুকু বললাম। বাকি কী করবেন সেটা আপনার সিদ্ধান্ত নেবেন।’

ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

Next Post

কৃষ্ণচূড়ায় লাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

শনি মে ২১ , ২০২২
আভা ডেস্কঃ গ্রীষ্মের তপ্ত রোদে কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙের আভায় পুরান ঢাকার এক টুকরো সবুজের প্রাণকেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সেজেছে বর্ণিল সাজে। গ্রীষ্মের নিষ্প্রাণ রুক্ষতা ছাপিয়ে ক্যাম্পাসের কৃষ্ণচূড়া মেলে ধরেছে তার রূপ। সবুজ পাতার ফাঁকে উজ্জ্বল লাল রঙের কৃষ্ণচূড়ার অপূর্ব বাহারি দৃশ্য চোখ জুড়ায়। এ যেন ফুল-পাতা দিয়ে গড়া প্রকৃতির এক […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links