নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজমিস্ত্রি কাজ করে পড়াশোনার খরচ বহন করতেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন। এই সংবাদ ফলাও ভাবে গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে, পড়াশোনার খরচসহ সার্বিক দায়িত্ব নেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। মেয়র তাৎক্ষণিক তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটুকে মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন। টিটু মেয়রের নির্দেশে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে বৃহস্পতিবার দুপুরে মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন, তার পরিবার ও শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করেন। মেয়র ব্যক্তিগত উদ্যোগে অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী ইমরান হোসেনের পড়াশোনার খরচ, থাকা-খাওয়াসহ তার সকল খরচ ব্যয় করবেন বলে জানান। এরই ধারাবাহিকতায় ২৩ অক্টোবর মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্দেশে রাবি হল প্রশাসনের মাধ্যমে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ৪৮০ নাম্বার রুমে সিট ব্যবস্থা করেন।
শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র স্যারের পক্ষ থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। মেয়র স্যার আমার পড়াশোনাসহ সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন। আজ হলে সিট পেয়েছি। সে আরও বলেন, রাজশাহীতে গিয়ে পড়াশোনার খরচ চালানো নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এখন দুচিন্তামুক্ত হলাম। মেয়র স্যার সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন, এতে আমি ও আমার পরিবার অনেক খুঁশি। আমরা মেয়র স্যারের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।
উল্লেখ্য, ইমরান হোসেন পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবদুর রশিদ মাঝির ছেলে। আট সন্তানের মধ্যে পঞ্চম। ইমরান দারিদ্র ঠেকাতে পারেনি অদম্য মেধাবী ইমরান হোসেনের পথচলা। কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ক্লাস শুরু হবে।