আভা ডেস্কঃ শুরু থেকেই মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে ফ্রন্ট ফাইটার হিসেবে কাজ করে আসছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। বিশেষ করে জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানের নির্দেশে লকডাউন, হোম কোয়ারেন্টিনসহ সরকারের স্বাস্থ্যবিধি কার্যকরে সামনে থেকে কাজ করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
তারা প্রতিদিনই টিমওয়ার্কের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের বিষয়ে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায়ও তারা দ্বিধাবোধ করছেন না।
জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, জেলায় করোনা পরিস্থিতির শুরু ১০ মার্চ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ৩৫৫টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। যার অনুকূলে অর্থদণ্ড বা জরিমানা আদায় করা হয়েছে অর্ধ কোটি টাকারও বেশি। পুরো অর্থই জমা হয়েছে সরকারি কোষাগারে। ফলে শুধু করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণই নয়; বরং চলমান সংকটে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিতেও বেশ অবদান রাখছেন জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বাধীন টিমের সদস্যরা।
সূত্র মতে, গত তিন মাসের অধিক সময়ে পরিচালিত ৩৫৫টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬৪৯ ব্যক্তি এবং ৬৯১টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। এ সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে জরিমানা বাবদ তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়েছে মোট ৫২ লাখ ১ হাজার ২৫০ টাকা।
এ ছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন ৫৯ জন ব্যক্তি। এর বাইরে নানা অভিযোগের ভিত্তিতে সিলগালা করা হয়েছে ১৩টি প্রতিষ্ঠান।
জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের এ ধরনের মোবাইল কোর্ট এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি তিনি (জেলা প্রশাসক) জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া সবাইকে মাস্ক পরিধান এবং অকারনে বাইরে ঘোরাফেরা বন্ধসহ সরকারের সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।