বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শেরপুরে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে রোপনকৃত জমির ফসল নষ্ট করায় থানায় অভিযোগ। গত ৬ অক্টোবর শেরপুর থানায় হাজির হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।উপজেলার দারুগ্রাম এলাকার আলহাজ আফসার আলীর ছেলে ভুক্তভোগি সুজাব আলী (৪০)। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার দারুগ্রাম গ্রামের মজিবর রহমান ওরফে মজুর ছেলে মো.ফরিদুল ইসলাম ওরফে ফরিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সুজাব আলী জানান, গত প্রায় ৩ মাস পূর্বে থেকে আমি আমার নিজ নামে ক্রয়কৃত ১৪ শতাংশ জমিতে আমন ধান রোপন করে পরিচর্যা করে আসছি। মাঝেমধ্যেই ফরিদ আমার নিজনামে ক্রয়কৃত জমিতে হানা দিয়ে অযথা কিটনাশক প্রয়োগ করে। লোক সমাগমে বলে বেড়ায় যে এই জমি আমার বন্ধকী নেওয়া। উক্ত বিবাদীর বাড়ী ও আমার বাড়ী একই গ্রামে পাশাপাশি বসবাস সেই সুবাদে বিবাদিকে আমি চিনি। উক্ত জমি নিয়া বিজ্ঞ আদালতে মামলা করিলে, বিজ্ঞ আদালত উক্ত জমির উপর বিবাদীদের প্রবেশের নিষেধাক্কা জারিকরে। বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাক্কার পরেও বিবাদী আমার জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া জমিতে রোপনকৃত সকল ধান নষ্ট করে বাড়ীতে এসে লোকজনের নিকট বলে বেড়ায় যে, সুজাব আলী জমির ধান নষ্ট করে ফেলেছি। সে যত বার ধান রোপন করিবে আমি তার ধান ততবারই নষ্ট করব। এমন বিষয় আমি জানার পরে সেই দিন ৬ অক্টোবর বিকাল অনুমান ৪ টার সময় আমার জমিতে ধান দেখার জন্য গিয়ে দেখতে পাই আমার রোপনকৃত সকল ধান নষ্ট করে দিয়েছে। আমি বাড়ীতে ফিরে বিবাদীকে আমার জমির ধান নষ্ট করার কারণ জানতে চাইলে সে সঠিক কোন উত্তর না দিয়ে আবল তাবল কথা বলাসহ আমাকে বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি ও মারপিটের হুমকি প্রদান করে। উক্ত ঘটনার বিষয় নিয়ে এর আগেও কুসুম্বী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আপোষ মিমাংসার লক্ষ্যে বার বার তাকে নোটিশ প্রদানের মাধ্যমে ডাকলেও তিনি কোন সাড়া দেননি। সে উল্টো বলে এ বিষয় নিয়ে কোন আপোষ মিমাংসা করিব না, তারা যা পারে করুক তাতে আমার কিছুই করতে পারবেনা। এবিষয়ে অভিযুক্ত ফরিদুল ইসলাম ফরিদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সুজাব আলীর জমিতে রোপনকৃত ফসল নষ্টের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। কে বা কাহারা নষ্ট করেছে তার কোন স্বাক্ষী প্রমানও নাই।
এব্যাপারে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, জমির ফসল নষ্ট সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করার জন্য এস,আই সাচ্ছু বিশ্বাসকে ভার দেওয়া হয়েছে।