আভা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জনগণ ভোট দিলে আসবো, নাহলে আসবো না। আমরা দশ বছর ক্ষমতায় ছিলাম। দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি। তবে আমরা চাই, আমরা যে অগ্রযাত্রা শুরু করেছি তা যেন অব্যাহত থাকে, আর যেনো কখনও বিদেশিদের কাছে হাত পাততে না হয়।’
শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে কেআইবি-এর ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এসব কথা বলেছেন তিনি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২১০০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কেমন হবে সেই পরিকল্পনা করে আমরা ডেল্টা প্ল্যান করেছি। সেখানে কৃষি ও পানিকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ব্লু-ইকোনমি শক্তিশালী করা ও সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্রও করা হয়েছে।’
বর্তমানে দেশের বাজারের আয়তন বেড়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘মানুষ যা উৎপাদন করে সেটাই বাজারজাত করার সুযোগ পাচ্ছে। এতে সার্বিক অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে। মানুষের সচ্ছলতাও বাড়ছে।’
কৃষিক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘দেশজুড়ে আমরা ভাসমান কৃষিক্ষেত করতে পারি, ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও পেয়েছি। আমার এলাকায় দেখেছি, কচুরিপানার ওপর বেড তৈরি করে মানুষকে ফসল ফলাতে দেখেছি। এরপর কৃষিমন্ত্রীকে বলেছি। সারাদেশে একই প্রক্রিয়ায় চাষাবাদ শুরু করলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে কিন্তু অনেকে এভাবে চাষ করতে শুরুও করেছে।’
কৃষিক্ষেত্রকে সরকার বিশেষ গুরুত্ব দেয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প নিয়ে আমরা প্রত্যেকটা পরিবারকে উৎসাহিত করছি। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক করে দিয়েছি। কেউ ১০০ টাকা সঞ্চয় করলে ব্যাংক থেকে তাকে আরও ১০০ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে মানুষের সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি বাড়বে। একই সঙ্গে কোথাও এক টুকরো জমিও খালি রাখা যাবে না। ফসল ফলাতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, ‘কখন বিপদ আপদ আসে, বলা যায় না। একটা ফসলের ওপর নির্ভর করলে হবে না। বহুমুখী ফসল চাষাবাদের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিপদের সময় যাতে খাদ্য সরবরাহ করতে পারি, যেজন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি।’
কৃষি ও বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য নতুন করে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।