নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কোমর ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা মানেই এক্সরে, এমআরআই ( x-ray, MRI) করতেই হবে। অনেক রোগী আছেন, যাদের ধারনা একটা এমআরআই করলেই তার রোগ নির্নয় পানির মত সহজ হয়ে যাবে। এবং পরীক্ষার পর চিকিৎসক যা বলে তাই সে বিশ্বাস করে ৷ তবে এর জন্য অনেক চিকিৎসকও দায়ী৷
অনেক রোগীকে দেখছি ফিজিওথেরাপি সেশনের সামান্য চার্জও বহন করার ক্ষমতা নেই, অথচ ধার কর্জ করে এমআরআই এক্সরে করতে হয়েছে৷ রোগীকে কেমনে বুঝাই অধিকাংশই ক্ষেত্রেই এম আর আই লাগে না৷ আপনার কথা শুনে, আপনাকে ফিজিক্যালি এসেস করে বুঝা যায় আপনার কি সমস্যা৷
ব্যথার কারণ নির্নয় এম আর আই, এক্সরে দিয়ে হয় না। এক্সরে এমআরআই পরীক্ষার রিপোর্টে বড়জোর রোগ নির্নয়ে সহযোগিতা করতে পারে৷ ব্যথা ডায়াগনোসিসের অনেকগুলো ধাপের মধ্যে একটি হল এক্সরে, এমআরআই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমআরআই করলে দেখা যায় হাড়ের মাঝখান থেকে ডিস্ক বের হয়েছে, কেউ কেউ আবার রোগীদের কে জেল বের হয়ে নার্ভে চাপ দিচ্ছে এইভাবে বুঝান। অনেক সুস্থ মানুষকে করিয়ে দেখবেন, সমস্যা পাবেন।
এমআরআই অবশ্যই দরকার হতে পারে, যখন রোগীর মধ্যে সিরিয়াস কিছু চিহ্ন (Red flag) দেখা যায়, যেমন কোমর ব্যথার রোগী প্রস্রাব ধরে রাখতে সমস্যা হয়, অনুভূতি বা নড়াচড়ায়( sensory & motor defecit) সমস্যা হয়। এছাড়া যথাযথ চিকিৎসা নিচ্ছেন কিন্তু ভাল হচ্ছে না, তখনই এমআরআই করে সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।
অনেক রোগী আছে, প্রথমেই এসে বলে স্যার আমার এক্সরে আর এমআরআই টা দেখেন আগে। রোগীকে কিভাবে বুঝাই চিকিৎসা করব আপনাকে, আপনার এক্সর, এমআরআইকে না । এতে অনেক ভুল আসে, সমস্যা নাই অথচ সমস্যা আসতে পারে বা সমস্যা থাকলেও অনেক সময় সমস্যা আসে না। এইজন্য রোগীর রোগের ইতিহাস শুনার আগে এমআরআই দেখে নিলে চিকিৎসক এমআরআই এর ডায়াগনোসিস দ্বারা ভায়াস হয়ে যেতে পারে৷ কিংবা কারো শরীরে তেমন কোন সমস্যা নাই, অথচ এম আর আই তে দেখল তার সমস্যা আছে। এতে সেই মানসিক ভাবেই ভেংগে পরে। হায় হায় আমার কি হল৷
তাই সবাইকে বলব, আর নয় প্রয়োজন ছাড়া এক্সরে, এমআরআই। চিকিৎসা করব আপনাকে, আপনার সমস্যা কে। রোগ নির্নয় করব ফিজিক্যালি এসেস করে এবং আপনার সব কথা শুনে বুঝে। শুধু আপনার রেডিওলজিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে রোগ নির্নয় হয় না ৷