ওসি প্রদীপসহ তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে গেছে র‌্যাব ।

আভা ডেস্কঃ কক্সবাজারের টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়ে গেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে তাদেরকে র‌্যাব হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেল সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন।

ওসি প্রদীপসহ যে তিন জনকে র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হয়েছে তারা হলেন- পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত।

তাদেরকে যে আজ রিমান্ডে নেয়া হবে সেটি গতকাল রাতেই জানিয়ে রেখেছিলেন র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার প্রধান লে.কর্নেল আশিক বিল্লাহ। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের জলতরঙ্গ রিসোর্টে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ঘটনার মূল সাক্ষী শিপ্রা ও সিফাতের কম্পিউটার ডিভাইসসহ ২৯টি সামগ্রী কক্সবাজারের রামু থানায় পুলিশের হেফাজতে রক্ষিত আছে। বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যম উক্ত সরঞ্জামাদি র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হবে। কারণ, মামলা তদন্তের স্বার্থে ওই কম্পিউটার ডিভাইসগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ দেবে।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের চার সদস্য ও সন্দেহভাজন তিন আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আমরা তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। দক্ষ ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে এই মামলা তদন্ত করছে র‌্যাব। যা তদন্তে শেষ হলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৩ আসামিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ওসি প্রদীপসহ যে তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে তাদের মধ্যে পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিতকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করা হয়েছে। ওসি প্রদীপকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অন্য চার পুলিশ সদস্য ও তিন সাক্ষীকে আগেই জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছি আমরা।

প্রসঙ্গত, ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি মামলা করে। আর রামু থানায় একটি মামলা করা হয়।

পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন- টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, এএসআই লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল। এদের মধ্যে আসামি মোস্তফা ও টুটুল পলাতক।

এর মধ্যে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া পুলিশের চার সদস্য এবং এ ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গত শুক্রবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে র‌্যাব।

যাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তারা হলেন- এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী মো. নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছ। আজ রিমান্ডে নেয়া হল প্রদীপসহ তিনজনকে।

 

Next Post

গত ২৪ ঘন্টায় বগুড়ায় নতুন আক্রান্ত ৬৫, মোট আক্রান্ত ৫৮৯৭ ।

মঙ্গল আগস্ট ১৮ , ২০২০
বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়া জেলায় নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর মোট আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাহার ৮৯৭ জন। বগুড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ফারজানুল ইসলাম নিঝর মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সকালে অনলাইন প্রেস বিফ্রিংয়ে এ সব তথ্য জানান। তিনি জানান, বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫ […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links