আভা ডেস্কঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশে করোনা নিয়ন্ত্রণ হয়ে গিয়েছিল। তারপর আবার তা বেড়ে গেলো। গত বছর করোনা রোগীদের জন্য দুই হাজার বেড ছিল। আর এখন ঢাকা শহরেই আছে আট হাজার বেড। সারাদেশে রয়েছে ১২ থেকে ১৩ হাজার বেড। এই এক বছরে একশো ত্রিশটি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ মে) মানিকগঞ্জে গড়পাড়ায় শুভ্র সেন্টারে দুঃস্থদের মাঝে খাদ্য সমাগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এই সেন্ট্রাল অক্সিজেন হাসপাতালের আওতায় এখন ১৬ হাজার বেড আছে। একটি ল্যাবরেটরি থেকে এখন প্রায় চারশ’র অধিক ল্যাবেরটরিতে করোনা ভাইরাসের টেস্ট করা হয়। বাংলাদেশে করোনায় ওষুধের অভাব হয় নাই। এখনও অক্সিজেনের অভাব দেখতে পাই নাই।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার লক ডাউন দিয়েছে। এই লক ডাউনে অনেকের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের পাশে দাঁড়ানো সবার দায়িত্ব। সরকার অসহায় মানুষের সহায়তায় হাজার কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। দেশে এখানও কিছু ভ্যাকসিন মজুদ আছে। ভারত থেকে তিন কোটি ভ্যাকসিন আনতে অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ভারত আমাদের ৭০ লাখ ভ্যাকসিন দিয়েছে। আর ৩০ লাখ ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছিল। তারপর আর ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি। তাই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ বন্ধ করা হয়েছে। ভ্যাকসিন পেতে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে চুক্তি করা হচ্ছে। সরকার ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মাওয়া ঘাট দিয়ে পোকা মাকড়ের মতো মানুষ যাচ্ছে। ফেরিতে যেখানে একশ’ থেকে দুইশ’ লোক ওঠার কথা, সেখানে হাজার হাজার লোক যাচ্ছে। এই অবস্থা থাকলে করোনা বাড়তে সময় লাগবে না। আমারা চাই না ঈদের আগে কারও জীবনে দুঃখ বয়ে আনুক।’
এ সময় অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালামসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।