আভা ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, দেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল জিয়াউর রহমানের আমলে। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারীদের বিচারের পরিবর্তে পুরস্কৃত করে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিল খুনি জিয়াউর রহমান। এরপরও তারা কোন লজ্জায় মানবাধিকারের কথা বলে।
শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়া মুক্তদিবস উপলক্ষে বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর এসব কথা বলেন তিনি।
‘বর্তমান সরকারের আমলে দেশে মানবাধিকার শূন্যের কোঠায়’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহীনুর রহমানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
হানিফ বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা ধর্মের দোহায় দিয়ে গণহত্যা, নারী নির্যাতন করেছিল সেই যুদ্ধাপরাধী, দালাল, রাজাকারদের জেল থেকে মুক্ত করে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়। এই বিএনপির আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ধর্মভিত্তিক অপশক্তি দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের মত সব স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
হানিফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কায়েদি। তার মুক্তির জন্য জনগণ তো দূরের কথা বিএনপি নেতাকর্মীরাই রাস্তায় নামেনি। কারণ তারা জানে বেগম জিয়া, তারেক রহমান দুর্নীতিবাজ। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃপায় বেগম জিয়া বাইরে রয়েছেন। এরপরও তারা কোন লজ্জায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলে তা জাতির বোধগম্য নয়।