আভা ডেস্কঃ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালের আলোচিত পর্দা কেলেঙ্কাকারির সঙ্গে জড়িত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স অনিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ও জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তার জামিন বাতিল করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের করা মামলায় এই দু’জনকে মঙ্গলবার ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সেলিম মিয়ার আদালতে হাজির করা হলে আসামিদের জামিন না-মঞ্জুর করা হয়।
জামিন না-মঞ্জুরকৃত দু’জন হলেন- মেসার্স অনিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ্ আল মামুন ও জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০ কোটি টাকার পর্দা ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ব্যাপক দুর্নীতি হয়। এ দুর্নীতির ফলে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি মামলা করে।
এ মামলায় আসামি করা হয় ঠিকাদার মেসার্স অনিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আবদুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সি ফররুখ আহমেদ, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সী সাজ্জাদ হোসেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভ, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. মিনাক্ষী চাকমা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক প্যাথলজিস্ট ডা. এ এইচ এম নুরুল ইসলাম।
মামলাটি দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী। এর আগে এ মামলায় ৬ আসামির মধ্যে তিনজন ডাক্তার আদালতে হাজির হলে তাদের জামিন না-মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার আরও দুইজন আসামি আদালতে হাজির হলে তাদের জামিনও বাতিল করে জেলাহাজতে প্রেরণ করেন আদালত। এই দুই আসামি উচ্চ আদালত থেকে ৪০ দিনের জামিনে ছিলেন।