নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা বিএনপি থেকে গা বাচাতে আওয়ামীলীগে এসেছে তারা যেন কোন পদ পদবী না পায় । রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিনিধি সভায় মন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি থেকে যারা পদে রয়েছেন তাদের বাদ দিতে হবে। এমনকি গত নির্বাচনগুলোতে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন তাদেরও কোন ইউনিটের সভাপতি-সম্পাদকের পদ দেয়া যাবে না ।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচনকে নিয়েছেন আন্দোলনের অংশ হিসেবে। আর বিএনপির আন্দোলন মানেই জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসংযোগ। তাই এ বছর ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে বিএনপির হামলার আশঙ্কায় ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। ভোটাররা কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেনি। ভোটার উপস্থিতি কম হলেও উপমহাদেশের মানদন্ডে এই দুই সিটিতে সবচেয়ে ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মন্ত্রী বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে ভোট হওয়ার কারণে এখন আর কোনো দলেরই পোলিং এজেন্ট দরকার হওয়ার কথা না। কারণ ইভিএম নিজেই পোলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।
মন্ত্রী বলেন, সবসময় বিএনপির কাজ হচ্ছে সমালোচনা করা। ইভিএম নিয়েও তাদের সমালোচনার শেষ নাই। ইভিএমে ভোট কারচুপি তো দূরের কথা আঙুলের ছাপ না মিললেও ভোট দেওয়ার সুযোগ নাই। স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ জাতীয় পর্যায়ের কয়েকজন নেতার আঙুলের ছাপ না মেলার কারণে ভোট দিতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অথচ বিএনপির সমালোচনার শেষ নেই। বিএনপি সবসময় প্রযুক্তির বিরুদ্ধে।
প্রতিনিধি সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হেসেনসহ রাজশাহীর সংসদ সদস্য, জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।