আভা ডেস্কঃ সুদানের খার্তুম থেকে ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় যাচ্ছিল ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমানটি। তবে আদ্দিস আবাবায় নামার চেষ্টা করলেও, ৩৭ হাজার ফুট ওপরে বিমানটি ঝুলে থাকে। এতে চিন্তায় পড়ে যান এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কর্মকর্তারা। তারা কয়েক দফা পাইলটদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তবে তা ব্যর্থ হয়।
পরে জানা যায়, দুই পাইলটই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বিমানের অটোপাইলট সিস্টেম চালু করে। যে রানওয়েতে বিমানটি নামার কথা ছিল, সেটির ওপরে আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় অটোপাইলট সিস্টেম সংযোগ। বিমানে বেজে ওঠে সাইরেন। আর এতেই ঘুম ভাঙ্গে পাইলটদের।
এভিয়েশন হেরাল্ড বলছে, ইটি৩৪৩ ফ্লাইটের দুই পাইলটই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তখন বোয়িং ৭৩৭-এর অটোপাইলট সিস্টেম বিমানটিকে ৩৭ হাজার ফুট ওপরে রেখেছিল। ২৫ মিনিট পর রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টা করেন পাইলটরা।
ভাগ্যক্রমে এ ঘটনায় কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। বিমানটিকে নিরাপদেই অবতরণ করেন পাইলটরা। ফ্লাইটটিতে যাত্রী কতজন ছিল তা জানা যায়নি।
এভিয়েশন সার্ভিল্যান্স সিস্টেম এডিএস-বি জানায়, সোমবার এ ঘটনা ঘটে। তারা বিমানের যাত্রা পথের একটি ছবিও শেয়ার করেছেন।
এভিয়েশন বিশ্লেষক অ্যালেক্স মাচেরাস এ ঘটনাকে ‘গভীরভাবে উদ্বেগজনক’ বলছেন। পাইলটের ক্লান্তিকে এর জন্য দায়ী করেছেন তিনি।
একই ধরনের ঘটনা মে মাসেও ঘটেছিল। নিউ ইয়র্ক থেকে রোমের ফ্লাইটে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন দুই পাইলট। তখন বিমানটি ৩৮ হাজার ফুট ওপর দিয়ে যাচ্ছিল।
এভিয়েশন রেগুলেটর ঘটনাটি তদন্ত করে। তারা জানায়, আইটিএ এয়ারওয়েজের এয়ারবাস-৩৩০ ফ্লাইটি ফ্রান্সের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় ঘুমাচ্ছিলেন পাইলটরা।