আভা ডেস্ক : প্রথম দুই ম্যাচ পর ১-১ সমতা। সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেটা তাই রূপ নিয়েছিল ‘অলিখিত ফাইনালে’। আজ শুক্রবার বেলফাস্টের সেই ‘অলিখিত ফাইনাল’ জিতে ৩ ম্যাচের সিরিজটা ২-১-এ পকেটে পুড়ে ফেলল আফগানিস্তান। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটায় স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে আফগানরা। জিতেছে ৮ উইকেটে। আফগান বোলারদের তোপের মুখে প্রথমে ব্যাট করা আয়ারল্যান্ড মাত্র ১২৪ রানেই অলআউট হয়ে যায়। ১২৫ রানের মামলি টার্গেট সফরকারী আফগানিস্তান পেরিয়ে গেছে ২৩.৫ ওভারেই। মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই করেছে ১২৭ রান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই অভিজ্ঞ পল স্টার্লিংকে হারিয়ে বসে আয়ারল্যান্ড। মাত্র ২ রানেই তাকে ফেরান আফতাব আলম। এরপর অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ও অ্যান্ডি বালব্রিনি মিলে চেষ্টা করেন শুরুর বিপদ কাটিয়ে উঠার। কিন্তু সেই চেষ্টায় তাদের সফল হতে দেননি আফগান বোলাররা।
পেস আর স্পিনের সমন্বয়ে আফগান বোলাররা বরং গুঁড়িয়ে দেয় আইরিশদের। এক পর্যায়ে ৩৮ রানেই হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানেই থেমে যায় আইরিশদের ইনিংস। আফগানদের ম্যাচ এবং সিরিজ জয়ের কাব্য রচিত হয়ে যায় তখনই। ব্যাটিং করতে নামাটা ছিল স্রেফ জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারার উপলক্ষ!
এহসানুল্লাহর হাফসেঞ্চুরিতে চড়ে জয়ের সেই আনুষ্ঠানিকতা অনায়াসেই সেরে ফেলেছে আফগানিস্তান। অন্য ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদ মাত্র ১ রান করে ফিরলেও এহসানুল্লাহ মাঠ ছেড়েছেন জয় সঙ্গে নিয়েই। দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে তিনি করেছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫৭ রানে। এ ছাড়া রহমত শাহ ৩৩ ও হাশমাতুল্লাহ শাহিদি করেন অপরাজিত ৩৪ রান।
তবে এহসানুল্লাহ নয়, সিরিজ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন আফগানিস্তানের তারকা স্পিনার রশিদ খান। এই ম্যাচে যিনি ৮ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। আইরিশদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার মিশনে বল হাতে তার সঙ্গী ছিলেন আফতাব আলম, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নাইব এবং আসগর আফগানও। আফতাব, গুলবাদিন, নবী-তিনজনেই নিয়েছৈন ২টি করে উইকেট। আসগর নেন একটি।
এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি জিতেছিল আফগানিস্তান। তবে বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে সিরিজে ফিরেছিল আইরিশরা। কিন্তু নিজেদের মাটিতে সিরিজটা শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পারলেন না তারা।
উল্লেখ্য, এর আগে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও আফগানিস্তান জিতেছে ২-০ ব্যবধানে। পরিবর্তন