আভা ডেস্কঃ দ্বিতীয় দফায় আজ সোমবার বিকালে আত্মসমর্পণ করছে টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। এই অপর্কম ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ করে দিয়েছে পুলিশ।
বিকাল ৩টার দিকে দ্বিতীয় দফায় আত্মসমর্পণ করছেন ২৫ ইয়াবা ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন পুলিশের ‘সেফহোমে’ থাকার পর টেকনাফ সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে তারা আত্মসমর্পণ করবেন। আত্মসমর্পণের মঞ্চসহ সব প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ।
এদিকে আত্মসমর্পণের ব্যাপারে গত রোববার টেকনাফ উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় মাইকিংও করা হয়।
বলা হয়, যারা মাদকের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন, তারা নিজের জীবন এবং পরিবার-পরিজনের স্বার্থে রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী মরণনেশা ইয়াবার ব্যবসা ছেড়ে আত্মসমর্পণে যোগ দিন।
এদিকে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে আজকের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমেদ বাহাদুর বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনায় মাদকবিরোধী অভিযান সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজারেও চলমান রয়েছে। এ অভিযান থেকে প্রাণে বাঁচতে মাদক ব্যবসায়ীরা আত্মসমর্পণ করছেন, যা তাদের জন্য বড় ধরনের সুযোগ।
তিনি আরও বলেন, যারা মাদকের সঙ্গে জড়িত; তাদের এই সুযোগ কাজে লাগানো দরকার। কারণ মরণনেশা ইয়াবার ব্যবসা করে কেউ আইনের কাছ থেকে বাঁচতে পারবে না। সুতারাং বাঁচতে হলে মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে হবে।
কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, সোমবার বিকাল ৩টার দিকে ২০ থেকে ২৫ ইয়াবা ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণ করার কথা রয়েছে। এই আত্মসমর্পণের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় দফায় আত্মসমর্পণের সংখ্যায় কম হলেও মাদক ব্যবসায়ীরা যে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে এটিই পুলিশের সফলতা। সুতরাং তারাও এখন বুঝছে বাঁচতে হলে মাদক ব্যবসা ছাড়তে হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় দফায় যারা আত্মসমর্পণ করবে তাদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে সোর্পদ করা হবে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথমবার আত্মসমর্পণে সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদির কয়েক নিকটাত্মীয় থাকলেও এবার তার কোনো স্বজন নেই।
২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আত্মসমর্পণ করা ১০২ জনের মাঝে একজন কারাগারে মারা গেছেন। বাকি ১০১ জনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে টেকনাফ থানা পুলিশ।