২৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জে এস সি মূল সনদ হারালেন শিক্ষক।

পুঠিয়া প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় শিক্ষককদের অবহেলায় ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ২৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মুল সনদপত্র হারিয়ে গেছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১ টার দিকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে ২৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মুল সনদপত্র উত্তোলন করে পুঠিয়ায় নিয়ে আসার পথে এ ঘটনা ঘটে।

বোর্ড থেকে সনদপত্রগুলো উত্তোলন করেন পুঠিয়া পি এন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও পিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার চৌধুরী।

সনদপত্রগুলো হারানোর পর সোমবার নগরীর মতিহার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে পুঠিয়া পিএন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অংশ নেয়া জেএসসি পরীক্ষার ২৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মুল সনদপত্র একটি ব্যাগে করে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে পুঠিয়া ফিরছিলেন। পথে তালাইমারি হতে কাপাশিয়া এলাকার কোন এক জায়গায় সনদপত্রের ব্যাগটি মোটরসাইকেল থেকে পরে যায়। পরে অনেক খোজাখুজি করেও না পেয়ে ওই এলাকায় মাইকিং করা হয় তবুও কোন সন্ধান না পেয়ে রাজশাহীর মতিহার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার চৌধুরি বলেন, অসাবধানতা বসত মোটরসাইকেল থেকে সনদপত্রসহ ব্যাগটি হারিয়ে গেছে। প্রায় ৮ কেজি ওজনের ব্যাগটিতে উপজেলার ২৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের মুল সনদপত্র ছিলো। তবে ব্যাগটিতে ওই কেন্দ্রে অংশ নেয়া মোট কতজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা সনদ ছিলো সে ব্যপারে কিছুই জানায়নি প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার চৌধুরি। তিনি আরো বলেন, বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে সনদপত্র গুলো উদ্ধারে তারা আমাদের সহযোগীতা করার আশ্বাষ দিয়েছেন।

প্রধান শিক্ষকের অবহেলায় সনদ পত্র খোয়া যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল হক জানান, ২০১৭ সালে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় পুঠিয়া উপজেলার তিনটি কেন্দ্রে মোট ২৯০৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে এবং ২৭৭৫ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ন হয়েছে। তবে পুঠিয়া পিএন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কতজন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে এবং কতজন পাস করেছে সেটা কেন্দ্র সচিব জানেন।

Next Post

দলিত শব্দটি ব্যবহার না করার পরামর্শ ভারত সরকারের।

মঙ্গল সেপ্টে. ৪ , ২০১৮
আভা ডেস্ক : ভারতে সমাজের বঞ্চিত ও শোষিত শ্রেণীকে বর্ণনা করার জন্য যে ‘দলিত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সেটি প্রয়োগ না-করার জন্য দেশের টিভি চ্যানেলগুলোকে পরামর্শ দিয়েছে সরকার। হাইকোর্টের দুটি সাম্প্রতিক রায়ের ওপর ভিত্তি করে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় বিভিন্ন মিডিয়া হাউসের কাছে এই মর্মে অ্যাডভাইসরিও পাঠিয়েছে। কিন্তু […]

এই রকম আরও খবর

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links