১০ জানুয়ারি থেকে একাদশ শ্রেণির প্রতিষ্ঠান বদলের আবেদন শুরু।

আভা ডেস্কঃ আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান বদলের আবেদন শুরু হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ই-টিসির পাশাপাশি গতানুগতিক পদ্ধতিতে (ম্যানুয়ালি) টিসির আবেদন করতে পারবেন।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত টিসির আবেদন করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে (https://dhakaeducationboard.gov.bd/) গিয়ে ই-টিসি বাটনে ক্লিক করে আবেদন পূরণ করে তা জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষার্থীর অধ্যয়নরত এবং ই-টিসির মাধ্যমে কাঙ্খিত উভয় কলেজে পঠিত বিষয়গুলো একই হতে হবে।

যেভাবে সম্পন্ন হবে আবেদন প্রক্রিয়া

আবেদন জমা হওয়ার পর শিক্ষার্থীর দেওয়া মোবাইল নম্বরে গোপনীয় কোডসহ এসএমএস পাঠানো হবে। এ কোড দিয়ে শিক্ষার্থীরা আবেদন আপডেট করতে পারবেন।

অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়ার পর পাওয়া সোনালী সেবা স্লিপের প্রিন্ট নিয়ে সোনালী ব্যাংকের যেকোনো অনলাইন শাখা থেকে সোনালী সেবার স্লিপের মাধ্যমে ই-টিসি বাবদ ৭০০ টাকা ফি জমা দিতে হবে।

শিক্ষার্থী সঠিকভাবে আবেদন সাবমিট করলে অধ্যায়নরত কলেজ অর্থাৎ প্রথম কলেজ একটি এসএমএস পাবে।  তখন ওই কলেজ বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘ওইএমএস’ এর মাধ্যমে লগইন করে ‘ট্রান্সফার সার্টিফিকেট’ অপশনে ক্লিক করে টিসি আবেদন দেখতে পারবে। তখন ওই প্রতিষ্ঠান আবেদনটি ফরোয়ার্ড বা রিজেক্ট করতে পারবে।

প্রথম কলেজ আবেদন ফরোয়ার্ড করার পর টিসির জন্য আবেদন করা অর্থাৎ দ্বিতীয় কলেজ একইভাবে আবেদনটি ফরোয়ার্ড বা রিজেক্ট করতে পারবে।

দ্বিতীয় কলেজ আবেদনটি ফরোয়ার্ড করলে শিক্ষার্থী একটি এসএমএস পাবে। তখন সোনালী সেবার মাধ্যমে ই-টিসি ফি জমা দিতে হবে। সোনালী সেবার এ স্লিপ বোর্ডে জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই, এটি শিক্ষার্থীকে সংরক্ষণ করতে হবে।

শিক্ষার্থী বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে ই-টিসি বাটনে ক্লিক করে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট স্ট‌্যাটাসে এ গিয়ে সিরিউরিটি কোড দিয়ে আবেদনের সবশেষ অবস্থা জানতে পারবে।

ই-টিসির জন্য আবেদন করা উভয় কলেজ আবেদন ফরোয়ার্ড করলে এবং শিক্ষার্থী ফি জমা দেওয়ার পর বোর্ডে ই-টিসির আবেদন অনুমোদন বিবেচনা করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ই-টিসি আবেদন অনুমোদন হলে শিক্ষার্থী একটি এসএমএস পাবে। তখন বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে এটি প্রিন্ট নিয়ে কলেজে ভর্তি হতে হবে।

ম্যানুয়ালি আবেদন (বিটিসি) করে ঢাকা বোর্ডের আওতাধীন শিক্ষার্থীরা অন্য বোর্ডের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে চাইলে ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে বিটিসি ফরম ডাউনলোড করে সেটি পূরণ করে উভয় কলেজের অধ্যক্ষের সুপারিশসহ ঢাকা বোর্ডে জমা দিয়ে ট্র্যাকিং নম্বর সংগ্রহ করতে হবে।

অন্য যেকোনো শিক্ষা বোর্ড থেকে আগত শিক্ষার্থীর একইভাবে ফরম পূরণ করে ভর্তিচ্ছু কলেজের অধ্যক্ষের সুপারিশ এবং পূর্ববর্তী শিক্ষা বোর্ডে বিটিসির আদেশের কপিসহ ফরমের নির্দেশনা মোতাবেক ঢাকা বোর্ডে জমা দিয়ে ট্র্যাকিং নম্বর সংগ্রহ করতে হবে।

বোর্ড বিটিসি আবেদন অনুমোদনের পর অনুমোদনের কপি ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। শিক্ষার্থী ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে গিয়ে কলেজ সেকশন থেকে কলেজ অর্ডার টিসি বাটনে ক্লিক করলে অফিস আদেশ দেখতে পারবেন।

ট্র্যাকিং নম্বর অনুযায়ী সেই অফিস আদেশের প্রিন্ট নিয়ে শিক্ষার্থীকে সংশ্লিষ্ট কলেজে ভর্তি হতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

Next Post

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের অবস্থা আগের চেয়ে ভাল।

বুধ জানু. ৬ , ২০২১
আভা ডেস্কঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটা ভালো বলে নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান। বুধবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি। শায়রুল কবির খান বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম […]

Chief Editor

Johny Watshon

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation ullamco laboris nisi ut aliquip ex ea commodo consequat. Duis aute irure dolor in reprehenderit in voluptate velit esse cillum dolore eu fugiat nulla pariatur

Quick Links